নড়াইলের ডিবি পুলিশ ও মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা 'বিকাশ প্রতারণা'র মামলায় আমির হোসেন (৫০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার দাউদখালী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদীর তত্ত্বাবধানে এসআই ফিরোজ আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্স ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহায়তায় মঠবাড়িয়া থানার বন্দর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক আমির হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর প্রতারক আমির হোসেন নড়াইল সদর থানার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলে, আপনার একাউন্টে অতিরিক্ত টাকা ঢুকে গেছে। আপনার বিকাশ একাউন্ট চেক করলে বুঝতে পারবেন। আপনার বিকাশ একাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাই একাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। একাউন্টটি পুনরায় চালু করতে চাইলে আপনার বিকাশ নাম্বারে ১৮ হাজার ৫শত টাকা বিকাশ করতে হবে। মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বিকাশ করতে রাজি না হলে মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। আপনার বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে ভুক্তভোগী তার বিকাশ একাউন্টে ১৮ হাজার ৫শত টাকা বিকাশ করে। প্রতারক আমির হোসেন তাকে বলে, আপনার মোবাইলে বিকাশের ওটিপি যাবে, আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। প্রতারক কৌশলে তার কাছ থেকে বিকাশের পিন কোডটি নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী দেখেন তার বিকাশ একাউন্ট থেকে সব টাকা চলে গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী নড়াইল সদর থানায় ওই নম্বরে মামলা করে।
পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বলেন, মামলার সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিবি পুলিশের দক্ষতায় আমির হোসেন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নড়াইল ডিবি পুলিশ। আমির হোসেন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যিবধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও আসামির সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

বিবার্তা/শরীফুল/নড়াইল