ভোলা সদর উপজেলায় বিয়েবাড়িতে কনেকে কোলে নেয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২১ জুলাই, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভোলা পৌর ২নং ওয়ার্ডের আজাহার মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বরপক্ষের আহতদের মধ্যে মো. মহিউদ্দিন ও রায়হান চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও কনের এক মামিসহ তিনজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর হযরত আলী (২৫) ভেদুরিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। আর কনে তামান্না বেগম (১৮) ভোলা পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের আজাহার মেম্বার বাড়ির আবুল খায়েরের মেয়ে।
আহত বর হযরত আলী অভিযোগ করেন, তাকে মারধর করে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়েছে। তার হাতে থাকা স্বর্ণের আন্টি ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ভাংচুর করা হয়েছে মাইক্রোবাস।
তিনি আরো জানান, পারিবারিকভাবে তামান্নার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। আজ (শুক্রবার) দুপুরে ৪০ জন বরযাত্রী কনে বাড়ির বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে কনেকে তার খালাতো দুলাভাই কোলে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কনেকে হাঁটিয়ে গাড়িতে তুলেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরকে দেখতে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। আপাতত কোনো পক্ষই অভিযোগ দিতে নারাজ। তারা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিটিয়ে নিবেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]