পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

শনিবার (১০ জুন) উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম স্বাক্ষরিত নোটিশে জানা যায়, উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নে ২৪৩ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ৩০ কেজি হারে ৯৭২ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্য থেকে তিনি ৮৯২ বস্তা চাল বিতরণ করেছেন। কিন্তু তার পরিষদের গুদামে ৮০ বস্তা চাল অবশিষ্ট রয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয় ইউপি চেয়ারম্যান ভিজিএফ এর চাল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রেখেছেন।
এছাড়া পত্তাশী ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার দলীয় লোকজন গত শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখতে পান ওই গুদামে ৮০ বস্তা চাল মজুদ রয়েছে। তবে সে চাল ভিজিএফ এর নয়। বরং ভিডব্লিউবি এর।

এ বিষয়ে পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার জানান, আমার ইউনিয়নে মোট ২৪৩ জন ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল পেয়ে থাকেন। এরা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ বিধায় জীবিকার স্বার্থে অনেকেই এলাকার বাইরে কাজে চলে যান। তাই ৯৭২ বস্তা চালের মধ্যে ৮৯২ বস্তা চাল যথা সময়ে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। যারা চাল নিতে আসে নাই তাদের চাল গুদামে রেখে দেয়া হয়েছে। তারা নিতে আসলেই চাল দিয়ে দেয়া হবে। তবে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আমার মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।

বিবার্তা/শামীম/সউদ/জবা