সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও কমদামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে ধান কেনা-বেচা হচ্ছে। এতে মোকামে নিয়ে আসা ধানের কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছে না কৃষক ও পাইকাররা।
খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, মোকামে নিয়ে আসা ধানের আদ্রতা বেশী থাকায় দাম কিছুটা কম। সরকারী ভাবে বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে ধানের বাজার দর কিছুটা বাড়বে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উৎপাদিত ধান নিয়ে কৃষক ও পাইকাররা আসছেন আশুগঞ্জ ধানের মোকামে।
মেঘনা নদীর তীরে বিওসি ঘাটে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম এ মোকামে কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান নদী পথে লাভের আশায় নিয়ে আসছেন। তবে সরকারী ভাবে এবার প্রতি মণ ধানের সংগ্রহ মূল্য ১২শ টাকা নির্ধারণ করা হলেও মোকামে প্রকার ভেদে বিভিন্ন ধান ৩/৪শ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা জানিয়েছেন এতে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বর্তমানে প্রতি মণ মোটা ধান (ভিজা ) ৭২০ থেকে ৭৬০টাকা, মোটা ধান শুকনা ৯শ টাকা, বিআর-২৮ ধান ৮৫০ থেকে ১১শ টাকা, বিআর-২৯ ধান ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা জানান, মোকামে সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্রের কারসাজির ফলে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে তার বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
ধান-চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে মিল মালিকদের স্টক নীতিমালা পরিবর্তনের দাবী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বাবুল আহমেদ।
তিনি বলেন, মিল মালিকরা অনুমোদিত স্টক ক্যাপাসিটির তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত স্টক করে থাকে, ফলে দামের উপর প্রভাব পড়ে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যায়। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কাউসার সজীব জানান, কেউ যাতে অতিরিক্ত মজুদ করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি মজুদের পরিমান কমানোর বিষয়ে মিল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোন প্রস্তাব দেয়া হলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত হবে।
বিবার্তা/নিয়ামুল/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]