নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৩নং চন্ডিগড় ও ৭নং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ পাকা সড়ক বিগত বন্যায় ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও দীর্ঘ ১০ মাসেও সংস্কার হয়নি রাস্তাগুলোর। এতে ঐ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২২ সালের ১৭ জুনের বন্যার পর থেকে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ। এতে জরুরি কোনো রোগী নিয়েও শহরের হাসপাতালে যেতে গেলে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। তারপরও ভোগান্তি থেকে রক্ষাতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চন্ডিগড় ইউনিয়নের মাঝিয়াইল এলাকা হতে কেরনখলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক বিগত বন্যায় ভেঙ্গে গিয়েছে।
এর মধ্যে থাপনারগাতি গ্রামের কয়েক স্থানে বড় বড় গর্ত ও পুকুরের মতো সৃষ্টি হয়েছে। ঐ সড়কে ছোট-বড় কোনরকম ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
অপরদিকে, গাঁওকান্দিয়া বাজার থেকে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাওদাড়া পর্যন্ত সড়কটিতে বিভিন্ন জায়গায় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।
গাঁওকান্দিয়া বাজার থেকে চৈতাটি পর্যন্ত মাটির ভাঙ্গা সড়কে কিছু কিছু স্থানে মাটি ফেলে কোনো রকমে চলাচলে ব্যবস্থা করলেও চলাচলে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তাই অতি দ্রুত এসব সড়ক সরকারি উদ্যোগে সংস্কার না করা হলে এ বর্ষা মৌসুমে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চন্ডিগড় ইউনিয়নের থাপনারগাতি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাশিদ বলেন, শহরে যেতে এই সড়কটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের হাজার হাজার মানুষের বের হয়ে শহরে যাওয়ার এটিই একমাত্র সড়ক। দীর্ঘদিনেও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ফলে মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে গেলে তারা আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এ ব্যপারে ৩নং চন্ডিগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আলম সরকার বলেন, মাঝিয়াইল মোড় থেকে কেরনখলা বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছিল কিন্তু ঠিকাদারী লোকসানে পড়বে বলে কাজ করেনি তাই এটি আবারও পূনরায় টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে।
৭নং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক বলেন,গতকালও উপজেলা মিটিং এ সড়কটি নিয়ে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে এটি সেকশন হয়েছে কাগজপত্র পাঠিয়েছে টেন্ডার হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ খোয়াজুর রহমান বলেন, বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাঝিয়াইল হতে কেরনখলা পর্যন্ত পাকা সড়কটি একবার টেন্ডার হয়েছিল। পরে ঠিকাদার কাজ নেয়নি। যার কারণে আমাদের পিপিআর আইন অনুযায়ী তার টেন্ডার সিকিউরিটি প্রফিট করে যা রিটেন্ডার করা হবে ইতিমধ্যে নতুন ভাবে ইস্টিমিট করে এবং প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম শেষ করে পাঠিয়েছি। টেন্ডার হলেই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে। আশা করছি জুন মাসের আগেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, গাঁওকান্দিয়া বাজার হতে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ইস্টিমিট কাজ চলেছে এ সপ্তাহের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেই সাথে খানাখন্দক গুলো মেইনটেনেন্স দেয়া হবে।
বিবার্তা/রফিক/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]