শিরোনাম
শ্রমিক সংকটে ক্ষেতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৩, ০৮:৩৪
শ্রমিক সংকটে ক্ষেতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

যশোরের শার্শায় কয়েকদিনের মাঝারি বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার শত শত বিঘার বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। ক্ষেতে কেটে রাখা পাকা ধান পানিতে ভাসছে। সঙ্গে ভাসছে কৃষকের স্বপ্নও। এবার ফলন ভালো হলেও আবহাওয়া পরিস্থিতি ও শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শার্শায় ২৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। দ্রুত যাতে বাকি ধানগুলো ঘরে তোলা যায়, সে বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


ঈদের আগে থেকে প্রচণ্ড খরতাপে কিছু কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হলেও কৃষকরা ধান বাড়িতে না এনে জমিতেই রেখে দেন। ঈদ চলে যাওয়ার পর পর হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে কৃষকদের ক্ষেতে কেটে রাখা পাকা ধান এখন পানিতে ভাসছে। অনেকের দাঁড়িয়ে থাকা পাকা ধানগাছ বাতাসে হেলে পড়েছে। ফলে কাটা ও গুছিয়ে ঘরে তোলাসহ ধান শুকানো নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বেকায়দায়।


বৃষ্টির একটু বিরতিতে নতুন করে কিছু কৃষক ফসল গোছাতে ব্যস্ত হলেও অনেকের পাকা ধানগাছ শ্রমিক সংকটে মাঠেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতি, শনি ও রবিবার তিনদফায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। এতে অনেক ক্ষেতেই পানি জমে গেছে।


শার্শার বাহাদুরপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রখর রোদে রোজা রেখে ধান কাটতে পারিনি। ওই সময় ধান তেমন পাকেনি। ঈদের দুদিন পরে ধান কাটা শুরু করি। ধান ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টিতে সব শেষ। এখন কাটা ধান জমিতেই পানিতে ভাসছে।


আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার বলেন, তিন বিঘা জমিতে এবার ধান করেছি। এর মধ্যে এক বিঘা জমির ধান বাড়িতে আনতে পেরেছি। বাকি দুই বিঘার ধান কেটে জমিতে ফেলে রাখায় বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। এতে আমার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে। আমার চারটা গরু আছে। ধান বাড়িতে আনতে না পারলে খড়ের অভাবে আমার গরুগুলো না খেয়ে মারা যাবে।


প্রতিবছর দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা শ্রমিকরা কৃষকের ধান কেটে দিলেও এবার তাদের সংখ্যা কম। ফলে অনেক কৃষক শ্রমিক সংগ্রহ করতে পারেননি। শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি খারাপ আবহাওয়া কৃষকদের ধান কাটা নিয়ে বিপাকে ফেলেছে।


শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হলেও দুদিনের বৃষ্টিতে ধানের তেমন সমস্যা হবে না। তবে বৃষ্টির আগে যারা ধান ঘরে তুলতে পারেননি, তাদের ধানের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব মাঠ থেকে পানি অপসারণ করে ধান সংগ্রহ করে বাড়িতে আনার তাগিদ দেন তিনি।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com