
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের। ভদ্রমহিলার চোখ হঠাৎ গেল হাতে। দেখেন, অনামিকা ফাঁকা। বিয়ের আংটিটি নেই। ঘরের এদিক–সেদিক খুঁজে কোনো হদিস পেলেন না।
এরপর বুঝতে পারলেন, আংটি হয়তো ময়লার ব্যাগে চলে গেছে। সেটিতে যে খুঁজবেন, সে উপায়ও নেই। কারণ, ময়লার ব্যাগ চলে গেছে ভাগাড়ে। সেখান থেকে পরে ২০ টন ময়লা সরিয়ে উদ্ধার করা হয় আংটি। ভুলে চলে গিয়েছিল বিয়ের আংটি।
উইন্ডহাম জেনারেল সার্ভিসেসের পরিচালক ডেনিস সেনিবালদি বলেন, শহরের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত বোর্ডের এক সদস্য তাঁকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। আংটিটি দুর্ঘটনাক্রমে ময়লার সঙ্গে চলে গিয়েছিল।
সেনিবালদি ডব্লিউএইচডিএইচ–টিভিকে বলেন, ওই নারী তাঁকে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য দেন। যেমন তাঁর স্বামী ময়লার ব্যাগ কোথায় ফেলেছেন, ব্যাগে কী ধরনের ময়লা ছিল, কী ধরনের গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
সেনিবালদি এসব তথ্যের ভিত্তিতে ময়লার ব্যাগটি ঠিক কোথায় ফেলা হয়েছে, তা জানতে নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেন।
সেনিবালদি ডব্লিউএমইউআর–টিভিকে বলেন, ‘সুতরাং আমি জানতাম প্রথম কোপটি কোথায় দিতে হবে। আমি জানতাম, ময়লার ভাগাড়ের কোন জায়গায় এটি আছে। তারপরও এটি বের করতে বেগ পেতে হয়েছে।’
এই কর্মকর্তা বলেন, সঠিক ব্যাগটি পেতে তাঁর দলের সদস্যদের ১২ ফুট খনন করতে হয়েছে। দুই ঘণ্টা পর ব্যাগটি পাওয়া যায়।
সেনিবালদি বলেন, ‘আংটিটি পাওয়ার পর পরিষ্কার করে ওই নারীকে ফোন দিই। গত বুধবার আংটি হারানোর পর তাঁর যতটা মন খারাপ হয়েছিল, শুক্রবার তা ফিরে পাওয়ার পর এর চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন।’
এমনটা যে এবারই প্রথম ঘটল, তা নয়। সেনিবালদি বলেন, দুই বছরে এ নিয়ে তৃতীয়বার এ ধরনের ঘটনা ঘটল। সর্বশেষ ঠিক এক বছর আগে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]