
সাত বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি মুস্তাকিম। হঠাৎই ঘটে এক কাকতালীয় ঘটনা।
বাজারের গলিপথে দল বেঁধে কয়েকজন ভিক্ষা করছিলেন। তাদের দিকে চোখ যায় এক ব্যক্তির। ভিক্ষুকদের একজনকে দেখে চেনা মনে হয় তার। পাশে গিয়ে তিনি দেখতে পান চেনা মুখটি তারই বন্ধু মুস্তাকিম খালিদের।
মুস্তাকিমকে ভিক্ষা করতে দেখে ছবি তোলেন তার বন্ধু। এরপর সেই ছবি তিনি পাঠান মুস্তাকিমের মা শাহীন আখতারকে। ছবি দেখে চিনতে পারার পর ছেলের দেখা পেতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মা।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির তাহলি মোহরি চক নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ সাত বছর পর মা ও ছেলের দেখা হওয়ার ঘটনায় তারা দুজনই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
শাহীন আখতার জানান, ২০১৬ সালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মুস্তাকিম। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খুঁজেও পাননি। দীর্ঘ সাত বছর পর ছেলেকে খুঁজে পেয়ে তিনি অনেক আনন্দিত।
মুস্তাকিম একসময় পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালে পুলিশে যোগ দেন তিনি। এর কয়েক বছর পর টাইফয়েড হয়। টাইফয়েড হওয়ার পর থেকে কিছুটা মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। এ কারণে ছাড়তে হয় চাকরি। এর মধ্যে একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে লাপাত্তা হন তিনি।
পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর একই বছর বিয়ে করেন মুস্তাকিম খালিদ। এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে তাঁর। বাবাকে ফিরে পাওয়ার পর তাঁরা খুবই খুশি। মুস্তাকিমের মা শাহীন আখতার বলেন, ‘আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের মানুষ মুস্তাকিমকে দেখতে ভিড় করছেন। তাঁকে দেখে সবাই খুবই খুশি।’
মুস্তাকিমকে দিয়ে জোরপূর্বক ভিক্ষা করানো হতো বলে অভিযোগ তুলেছেন শাহীন আখতার। তিনি বলেন, ভিক্ষা না করলে তাঁর ছেলেকে মারধর ও নির্যাতন করা হতো। এ অভিযোগ তুলে স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেছেন তিনি। তাঁর মামলার পর চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]