
আকাশে উড়তে উড়তে মরে গিয়ে নিচে পড়ছিল একঝাঁক পাখি। চীনের গুয়াংঝি অঞ্চলের লাইবিন এলাকায় একটি ভবনের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে ক্যামেরায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পাখিগুলো পড়ে যাওয়ার আগে গোল হয়ে চক্কর দিচ্ছিল। এই পাখির নাম সোয়ালো। আবাবিল নামেও পরিচিত।
যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র মেট্রোর এক খবরে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীতের পরিযায়ী এই পাখির মৃত্যু হয়েছে।
সোয়ালো পাখি দেখতে ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়। আকৃতি হয় ১৬ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। মসৃণ, সুবিন্যস্ত শরীর আর চমৎকার ওড়াউড়ির ক্ষমতা রয়েছে এই পাখির। শীতকালে এসব পাখির খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়লে অপেক্ষাকৃত কম ঠান্ডা অঞ্চলে পাড়ি দেয় তারা।
সোয়ালো পাখি গাছের ডালে অন্যান্য পাখির মতো বসতে পারে না। এদের পা ছোট, নখর বড়শির মতো। তবে নখরের আঁকশিতে ভর করে ঝুলে বসতে পারে। আকাশে ওড়াই এদের জীবন। ঝাঁক বেঁধে ওড়া এই পাখি খেলুড়ে ও ফুর্তিবাজ। এদের শরীরের কাঠামো, ওড়ার গতি ও ছন্দ, ওপর-নিচ করার দক্ষতা ও আচমকা দিক বদলের ক্ষমতা ফাইটার বা বোমারু বিমানের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এদের দেহকাঠামো তথা ডানা, লেজের গড়ন ও ধরনের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় বিশ্বের দু-তিন রকম অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমানের।
মাটি থেকে ৫০০–৭০০ ফুট বা তারও ওপরে এরা ছোট–বড় ঝাঁকে উড়ে উড়ে ঘোরে। উড়ে উড়েই এরা ছোট ছোট পোকা খায়।
অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই সোয়ালো পাখির দেখা পাওয়া যায়। এরা দল বেঁধে বাসা বানায়। বাসার আকৃতি হয় কাপের মতো। পাথর ও পাহাড়ের খাঁজে, ভবনের ছাদে, পরিত্যক্ত ভবনসহ নানা জায়গায় এরা বাসা বাঁধে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]