ব্ল্যাক ফ্রাইডে; কেন, কী!
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ২১:০৯
ব্ল্যাক ফ্রাইডে; কেন, কী!
রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের মানুষের কাছে নতুন উৎসবের নাম ব্ল্যাক ফ্রাইডে। অনেকেই ঘটা করে এই উৎসব পালন শুরু করেছে। এটা খুব একটা পরিচিত নয় বাঙালি সমাজে।


তবুও অনেকেই উৎসব করছেন। কেউ কেউ আবার জানতে চাইছেন ব্ল্যাক ফ্রাইডে আসলে কি?


এটা আমেরিকান উৎসব। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার এই উৎসব পালিত হয়। নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার থাকে থ্যাকংস গিভিং ডে। এরপর দিন এই উৎসব পালিত হয়। অনেকটা বাংলাদেশের চৈত্র সংক্রান্তি এবং পরদিন পহেলা বৈশাখের মত। আর্থিক মূল্যমানে সহজ কথায় বললে বাঙালির নবান্ন উৎসবের মত।


এর শুরুটা অত্যন্ত করুণ! ১৮০০ সালের দিকে প্রচলন শুরু এই উৎসবের। তখন নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার কমদামে কৃতদাস বিক্রি হতো। মানুষ কমদামে কৃতদাস কেনার জন্য অপেক্ষা করত এইদিনের।


১৮৬৯ সালে আমেরিকান অর্থনীতিতে ভয়াবহ মন্দা দেখা দেয়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বাজার অর্থনীতিতে সংকট দেখা দেয়। তখন সিদ্ধান্ত হয়, নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার কমদামে পণ্য বিক্রি করবে। যেই কথা সেই কাজ। দামে ছাড় পাওয়ায় ক্রেতার ঢল নামে। ঘুরে দাঁড়ায় অর্থনীতি। অনেকের কাছে এটা ক্লিয়ারেন্স সেলের মত। দোকান বা শো-রুম খালি করার একটা মোক্ষম সময়।


বৃহস্পতিবার থ্যাকংস গিভিং ডে'তে লাঞ্চ বা ডিনার পার্টি, শুক্রবার ব্ল্যাক ফ্রাইডে, অক্টোবরের শেষ দিন হ্যালেইন পার্টি এবং ডিসেম্বরে বড় দিন এসব উৎসবের কারণে ঘুরে দাঁড়ায় আমেরিকান অর্থনীতি।


পুলিশের কাছে এটা সত্যিকার অর্থেই ব্ল্যাক ডে। কারণ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে রাস্তায়। যা শুক্রবার সারাদিন চলে। ট্রাফিকের মারাত্মক চাপ পড়ে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টিও আছে। ফলে নাওয়াখাওয়া ভুলে পুলিশ তৎপর থাকে এইদিনটি পার করে দেয়ার।


তবে অতিসম্প্রতি আমেরিকান এই সংস্কৃতি বাঙালির ঘরে ঢুকেছে। বাংলাদেশেও এইদিন সুপার সেল করা হচ্ছে। বড়ধরনের ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে। অনলাইন কেনাবেচায় ডেলিভারি চার্জ ফ্রি করে দেয়া হচ্ছে। ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজীব আহমেদ তার অনুসারীদেরকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটায় অনলাইনে ফ্রি ডেলিভারি করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর এই আহ্বানে সারা দিয়ে অনেকেই ডেলিভারি চার্জ ফ্রি করে দিচ্ছেন।


উৎসব যাদের-ই হোক, যেমন-ই হোক সেটা অর্থনীতিতে সুপ্রভাত ফেলে। তাছাড়া উৎসবে মানুষের সাথে মানুষের হৃদ্যতা বাড়ে। যার প্রভাব ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনে স্বস্তি ফেরে।


লেখক: রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ,গণমাধ্যমকর্মী


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com