যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর পৌর শহর পাগোসা স্প্রিংসের বাসিন্দা রিচার্ড মোর তাঁর প্রিয় কুকুর ফিনিকে নিয়ে গত ১৯ আগস্ট পর্বতারোহণে বের হয়েছিলেন। শহরের পশ্চিমে স্যান হুয়ার পর্বতমালার ব্ল্যাকহেড শৃঙ্গে ওঠার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।
আর্চুলেটা কাউন্টি শেরিফের দপ্তর জানায়, এরপর তাঁদের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। টাওস সার্চ অ্যান্ড রেসকিউর ডেলিন্ডা ভ্যানেব্রাইটিন গত মঙ্গলবার বলেন, রিচার্ডের গাড়ি যেখানে পার্ক করা হয়েছিল, সেখানে পর্বতের চূড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় দিনভর তল্লাশি চলে।
এই তল্লাশিতে কুকুরকে কাজে লাগানো হয়। পর্বতটির উচ্চতা ২ হাজার ১৫০ ফুট।
একজন শিকারি গত ৩০ অক্টোবর স্যান হুয়ান পর্বতমালার চূড়া থেকে আড়াই কিলোমিটার পূর্বে ৭১ বছর বয়সী রিচার্ডের মরদেহ দেখতে পান। সেখানে তখনো তাঁর পাশে ছিল ফিনি। শুকিয়ে সে অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। ওই শিকারির কাছে তথ্য পেয়ে পরদিন এক উদ্ধারকারী সেখানে যান।
ফিনিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পশু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখন সে রিচার্ডের পরিবারের কাছেই আছে বলে শেরিফের দপ্তর জানিয়েছে।
রিচার্ডের পাশে ফিনির থাকার এই অভাবনীয় গল্প রিচার্ডের প্রতি তার আনুগত্যের প্রমাণ। প্রায় দুই দশক ধরে রিচার্ড ফিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। ভ্যানেব্রাইটিন বলেন, জ্যাক রাসেল টেরিয়ার প্রজাতির এই কুকুর হিংস্র হলেও বন্ধুত্বপূর্ণও হয়।
আর্চুলেটা কাউন্টি করোনার ব্র্যাড হান্ট বলেন, রিচার্ড এক অভিজ্ঞ পর্বতারোহী। তিনি হাইপোথারমিয়ায় মারা গেছেন। হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত মানুষ দিশাহারা ও বিভ্রান্ত হতে পারে।
ভ্যানেব্রাইটিন বলেন, ছোট্ট ফিনি কোনোভাবে বেঁচে গেছে। ফিনি ইঁদুরের মতো ছোট প্রাণী খেয়ে বেঁচে ছিল বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি সিংহ, নেকড়ে, ভালুকের হাত থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, কুকুরটি যদি কথা বলতে পারত, তাহলে সেটা দারুণ এক গল্প হতো। তার গল্প হয়তো তখন আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতো।
ভ্যানেব্রাইটিন বলেন, ফিনি ফিরে আসায় পরিবারটি অনেক আনন্দিত। কারণ, তারা এমনিতেই তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। কিন্তু এখনো তাদের কাছে বিশ্বস্ত ও চমৎকার কেউ আছে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]