
কথায় আছে ‘সংসার সুখী হয় রমণীর গুণে’। গৃহিণী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী; সব পেশার নারী দুই হাতে নিজের সংসার সামলে রাখেন। স্বামী, সন্তান, পরিবার সবকিছুর খেয়াল রাখেন। স্বামীর অনুপ্রেরণা, শক্তি হয়ে ওঠেন নারী। সন্তানের বন্ধু, দিকনির্দেশক, পরামর্শদাতা হয়ে ওঠেন নারী। উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী ছাড়া সংসার শূন্য।
যেহেতু একজন স্ত্রী একটি পরিবার সামলে রাখেন, তাই তিনি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সেজন্য আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন স্ত্রীর প্রতি। কারণ, আজ ‘স্ত্রীর প্রশংসা দিবস’ বা ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’।
প্রশংসা পেলে যেকোনো মানুষই একটু খুশি হয় কিন্তু একজন স্ত্রীর কাছে স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসার মূল্য অন্যরকম। কারণ আমাদের দেশে ঘরের বউ বা স্ত্রীর কদর হয় খুব কম। একজন স্ত্রী একটা সংসারের জন্য যে পরিশ্রম করে থাকে সেসব ‘তারা করবেই’ বা এটাই ‘তাদের কাজ’ এমনটাই ধরে নেয়া হয়। কাজের স্বীকৃতি তো দূর খানিক প্রশংসাও অনেক স্ত্রী পান না।
অপরদিকে, একজন স্বামীর সর্বাত্মক উন্নতিতে সর্বদা পাশে থেকে তার সকল কাজে অনুপ্রেরণা যোগান দেন একজন স্ত্রী। দিনের হাজারো ব্যস্ততার পর সুন্দর একটা ঘরে ফিরে ক্লান্তি দূর করতে, খাবার টেবিলে বসলেই পরম মমতার সাথে খাবার পেতে, সুঘ্রাণযুক্ত পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু না চাইতেই এসব দাবী কিভাবে পূরণ হয়ে যায় একজন স্বামীর সেসব উপলব্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু খুব স্বামীই এসব উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখেন।
তাই, স্ত্রীর যেকোনো কাজের প্রশংসা করার জন্য যেকোনো স্বামীই লুফে নিতে পারেন আজকের দিনটি। কারো প্রশংসা করা কিন্তু খারাপ নয়, বরং খুবই ইতিবাচক একটি গুণ। এছাড়া, কাউকে প্রশংসা করা হলে তিনি উজ্জীবিত হন।
সুতরাং, স্ত্রীর সাথে সাথে যদি কোনো কারণে মনোমালিন্য থেকে থাকে সে সমস্যা সমাধানে আজকের দিনটি কিন্তু ভালো উপলক্ষ্য হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই দিবসটির কীভাবে প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর প্রশংসা দিবস উদযাপিত হয়। ২০০৬ সালে দেশটিতে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। তারপর থেকে এটি অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। তবে, দিবসটির নেপথ্যের কাহিনী নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা না গেলেও মনে করা হয়, স্ত্রীর প্রশংসা দিবসটি মূলত স্ত্রীদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য উদযাপন করা হয়। হোম মেকার হয়ে যেভাবে পরিবারকে আগলে রাখে তার প্রতি সম্মান জানানো হয়।
বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পার করলেও উচিত স্ত্রীকে তার সম্মান দেয়ার জন্য একটি দিন তাকে প্রশংসা করা। আজকের দিনে আপনার স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন।
তবে স্বামীদের আফসোসের কিছু নেই। প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার স্বামীর প্রশংসা দিবস বা ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]