
চকলেট খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে যদি, গরুর খাবারের তালিকায় থাকে চকলেট, আর সেগুলো গরুকে খাওয়ানো হয়, তাহলে অবাক হতেই হবে। অস্ট্রেলিয়ায় এমন ঘটনা আসলেই ঘটছে।
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের ওয়াই শহরে চার হাজারের বেশি গরুর একটি খামার রয়েছে জেমস মান নামের এক ব্যক্তির। তিনিই গরুগুলোকে নিয়মিত চকলেট খাওয়াচ্ছেন। কারণ, জেমস মান গরুগুলোর দুধের গুণগত মান বাড়াতে চান। আর গরুগুলো নাকি চকলেট খেতে পছন্দও করে।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা রয়েছে। সেখানে যেসব চকলেট বাতিল হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়, সেগুলোই গরুকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে আসেন জেমস মান। এসব চকলেটের কোনোটা বাজারে যে আকারে পাওয়া যায়, হুবহু তেমনই। কোনোটা আবার থাকে বড় চাঁইয়ের আকারে।
এর আগে খামারের গরুগুলোর শরীরে শক্তির জোগান দিতে চিনি খাওয়াতেন জেমস মান। অনেক খামারিই এটা করে থাকেন। তবে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছিল না জেমসের পক্ষে। তাই চিনির বদলে গরুর খাবারের সঙ্গে চকলেট মিশিয়ে দেওয়া শুরু করেন। তাঁর ভাষ্য, গরুর খাবারে চিনি ও তেল থাকা প্রয়োজন। চকলেটে দুটোই আছে। এর ফলে গরুগুলোর দুধের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহারের ফলে ফেলনা চকলেটগুলোর অপচয় হচ্ছে না বলে করেন জেমস মান। কারণ, সেগুলো হয়তো শেষ পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো। এ নিয়ে মানের আত্মতৃপ্তি—তিনি ভালো কাজই করছেন।
এদিকে গরুকে চকলেট খাওয়ানোয় জেমস মানকে নিয়ে অনেকে মজা করতে ছাড়ছেন না। যেমন কেউ কেউ বলছেন, বাজারের চকলেটে মেশানো দুধ নাকি মানের খামার থেকেই আসছে।
সূত্র : এবিসি নিউজ
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]