
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে ভাড়া বাসার চাহিদা বেশি। বেঙ্গালুরুতে বাসাভাড়া নিতে গিয়ে লিংকডইন প্রোফাইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল, এমনকি জীবনবৃত্তান্ত দেওয়ার ঘটনা এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি একটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, বাড়িভাড়া নিতে গিয়ে এক ব্যক্তিকে নিজের সম্পর্কে দেড় শ থেকে আড়াই শ শব্দের একটি লেখা দিতে হয়েছে। আবার তিনি যে চাকরি করেন, সেই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কাগজ, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আধার কার্ড, প্যানকার্ডের কপিও দিতে হয়েছে। সেই সঙ্গে দিতে হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশিট।
এত কিছু দেওয়ার পরও ওই ব্যক্তি বাসাভাড়া পাননি। ব্রোকার পড়ে ওই ব্যক্তিকে জানান, ওই বাড়ির মালিক তাঁকে বাড়িভাড়া দিতে রাজি হননি। কারণ, তাঁর দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বর ৭৫ শতাংশ। ওই ব্রোকার তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক এমন একজনকে ভাড়া দেবেন, যাঁর দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বর ৯০ শতাংশের বেশি।
বেঙ্গালুরুর এই পরিস্থিতি কেন, তা বোঝা যায় সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র দেখেই। এই শহরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ চাকরি করেন। এর মধ্যে গুগল, অ্যামাজনসহ তথ্যপ্রযুক্তির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারির সময় অনেক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। ফলে অনেকেই সেখানকার ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দিয়ে নিজ নিজ শহর বা গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণে বাসাভাড়াও কমেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ‘হোম অফিস’ নীতি থেকে সরে এসেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে অধিকাংশ কর্মী কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন, বাড়ছে ভাড়া বাসার চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে শুভ নামের এক ব্যক্তি টুইটারে ওই পোস্ট দিয়েছেন। ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকার পরও বাসাভাড়া না পাওয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি এটা বিশ্বাসই করতে পারছি না।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]