আকাশে ‘রহস্যময়’ আলোর ঝলকানি
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪০
আকাশে ‘রহস্যময়’ আলোর ঝলকানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রাতের আকাশে হঠাৎ আলোর ঝলকানি। 


গত বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানী কিয়েভের পুরো আকাশ উজ্জ্বল করে ওই আলোর ঝলকানি দেখা যায়। প্রতিবেশী বেলারুশ থেকেও সেটি দেখা গেছে।


এই আলোর ঝলকানির সম্ভাব্য কয়েকটি কারণের কথা বলা হচ্ছে। ইউক্রেনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, এই আলোর সূত্র সম্ভবত কোনো উল্কাপিণ্ড। বায়ুমণ্ডলের ঘন স্তরে প্রবেশের সময় সেটি থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়।


দেশটি ইউক্রেন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া হয়, রাশিয়ার ছোড়া কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বুঝি এমনটা হয়েছে। এখনই শুরু হবে ধ্বংসযজ্ঞ। তাই বেজে ওঠে সতর্কীকরণ সাইরেন। কিন্তু না, মুহূর্তে মিলিয়ে যায় সেই আলো। এর ‘রহস্য’ এখনো কাটেনি।


কিয়েভের বাসিন্দারা প্রথমে বিষয়টি রুশ বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ধরে নিলেও তা নাকচ করে দিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। যদিও প্রথমে বিমান সতর্কীকরণ সাইরেন বেজে ওঠে।


ইউক্রেনের সরকারের ধারণা ছিল, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বাতিল করা কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং তা থেকে ওই আলোর ঝলকানি। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পোপকো সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে বলেন, নাসা থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ৩০০ কেজি ওজনের অকেজো ওই কৃত্রিম উপগ্রহ ওই দিন (বুধবার) বায়ুমণ্ডলে ঢুকতে পারে।


তবে নাসার মুখপাত্র রব মারগেটা বিবিসিকে বলেন, সেই সময় তাঁদের উপগ্রহটি কক্ষপথেই ছিল। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহগুলোর ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখা প্রতিষ্ঠান স্যাটপ্লেয়ারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ঘটনার সময় তাদের উপগ্রহটি ইউক্রেনের আশপাশে ছিল না। নাসা ২০০২ সালে রেসসি নামে কৃত্রিম এই গবেষণা উপগ্রহটি পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছিল। ২০১৮ সালে সেটি অকেজো হয়।


তবে ইউক্রেনের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা নানা রকম কথাবার্তা বলছেন। তাঁদের অনেকের ধারণা, এটা ছিল ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের কাজ।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com