
ভারতের উত্তর প্রদেশে মনোজ কুমার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরভাবে ইঁদুর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই ব্যক্তিতে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্রও দিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের নভেম্বরে উত্তর প্রদেশের বাদাউন এলাকায়। মনোজ কুমার ইঁদুরটি মারতে সেটির লেজের সঙ্গে পাথর ঝুলিয়ে দিয়ে ড্রেনের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। আসলে এতে হয়তো তিনি পার পেয়ে যেতেন। কিন্তু ঘটনাটি নজরে এসেছিল এক অধিকারকর্মীর। বিকেন্দ্র শর্মা নামের ওই অধিকারকর্মী ইঁদুরটি উদ্ধার করেছিলেন। তবে বাঁচাতে পারেননি। এরপরই বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে।
গত ২৫ নভেম্বর মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাদাউন পুলিশের শহর সার্কেল অফিসার অলোক মিশরা বলেন, আদালতে মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে ৩০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক প্রতিবেদন, গণমাধ্যমের খবর এবং অন্যান্য দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইঁদুরটির ফুসফুস ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে ইঁদুরটি মারা যায়।
এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাজীব কুমার শর্মা বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মনোজ কুমারের ১০ রুপি থেকে ২ হাজার রুপি পর্যন্ত জরিমানা এবং তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড কিংবা তিনি উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হলেও তাঁর বাবা মাথুরা প্রসাদ অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর মতে, ইঁদুর মারা দোষের কিছু নয়। এটা ক্ষতিকর প্রাণী। এর কারণে মানসিক ও আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
প্রসাদ বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে যদি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে যাঁরা ছাগল, মুরগি, মাছ খান, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যাঁরা ইঁদুর মারার ওষুধ বিক্রি করেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]