সেফটির জন্য সেফ–টি!
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৪
সেফটির জন্য সেফ–টি!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) নিজেদের সাইবার নিরাপত্তার স্বার্থে এক অভাবনীয় প্রচারণায় নেমেছে।


এ জন্য নতুন ভিডিও বানিয়েছে তারা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্টারনেট সেফ–টি রেসিপি’।


সেফ–টির বানানটি এমনভাবে লেখা হয়েছে, যার বাংলা দাঁড়ায় ‘নিরাপদ চা’। আক্ষরিক অর্থেই চায়ের মতো করেই পাসওয়ার্ড বানানো শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ভিডিওতে।


ভারতে সম্প্রতি কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বড় সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। দিন যাচ্ছে এমন হামলার পরিমাণ বাড়ছে। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) সার্ভারেও হামলা হয়েছে।


এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেরাই প্রচারে নেমেছে গুগল ও ভারতের প্রতিষ্ঠান জোম্যাটো। 


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখানো হয়, প্রথমে একটি কেটলি নেওয়া হয়েছে চা তৈরির জন্য। এই কেটলির গায়ে লেখা ‘পাসওয়ার্ড’। এরপর এতে প্রথমে পানি ঢেলে দেওয়া হয়। এই পানির পাত্রের গায়ে লেখা ছিল ‘বড় হাতের অক্ষর’।


এরপর তাতে চায়ের পাতা ঢেলে দেওয়া হয়। এই পাত্রের গায়ে লেখা ছিল ‘ছোট হাতের অক্ষর’। এরপর দেওয়া হয় চিনি। এই পাত্রের গায়ে লেখা ছিল ‘স্পেশাল ক্যারেক্টার’। মূলত অক্ষর ও নম্বরের বাইরে যে প্রতীকগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে ‘স্পেশাল ক্যারেক্টার’ বলা হয়। এরপর ওই কেটলিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় দুধ। এই দুধের পাত্রের গায়ে লেখা ছিল ‘নম্বর’। এই চারটি উপাদান মিশিয়ে সেটি জ্বাল করে চা পরিবেশনের আগে ছেঁকে নেওয়া হয়।


এই ছাঁকনিকে বলা হয়েছে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেম। টু-স্টেপ ভেরিফিকেশনের দুই ধাপের প্রথম ধাপটিতে ব্যবহারকারী সচরাচর ব্যবহার করেন—এমন ফ্যাক্টর (পাসওয়ার্ড) থাকে। দ্বিতীয় ধাপটি হলো লগইন প্রক্রিয়াটি বৈধ বা অনুমোদন বা অ্যাকসেস দেওয়া। যেকোনো অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এড়ানোর জন্য এভাবে একটি পাসওয়ার্ড তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


গুগল ও জোম্যাটো দুটি প্রতিষ্ঠানই এই ভিডিও প্রকাশ করেছে। দুই দিন আগে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এই ভিডিওতে ইতিমধ্যে ২৯ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। অনেকেই এ ভিডিও নিয়ে বেশ মজা করেছেন। ভারতে অনেকেই এই ভিডিও শেয়ার করেছেন।


ভারত সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালে প্রায় চার লাখ সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০২০ সালে এ ঘটনা আরও বাড়ে। ওই বছর সাড়ে ১১ লাখের বেশি এমন ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ছয় লাখের বেশি এমন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com