সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে কিউই-ওয়াশ করলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এর আগে সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা। ফলে গত দু’বছর ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মাশরাফিরা চলতি বছরটি হার দিয়েই শেষ করলো।

শনিবার নেলসনে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্য ৪১.১ ওভারে দুই উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।

দলীয় ১০ রানে ল্যাথাম (৪) রানে আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে কেন উইলিয়ামসন ও ব্রুম ১৮৫ রানের জুটি গড়েন নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৯৫ রানের মাথায় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে মোস্তাফিজের বলে সাজঘরে ফেরেন ব্রুম। এছাড়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন। জেমস ন্যাসাম করেন ২৮ রান।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে নিউজিল্যান্ডের দুটি উইকেটই নিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহামন।

এর আগে শনিবার নেলসনের সেক্সটন ওভাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় টাইগাররা। ১০২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে আউট হন ইমরুল।

ইমরুলের বিদায়ের পরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল। এক একে ফিরে যান সাব্বির ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩, সাকিব ১৮, মোসাদ্দেক ১১ ও তানবীর ৩। মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিনা উইকেটে ১০২ রানে থাকা বাংলাদেশের রান হয় ৭ উইকেটে ১৭৯ রান।

আসা যাওয়ার মধ্যেও ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তামিম। ৮৮ বল মোকাবেলা করে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬২ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করেন ইমরুল।

তবে অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলের রান দুইশ’ পার করেন নুরুল হাসান সোহান। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে ৩৯ বলে ৪৪ রানের দারুণ কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন সান্টনার। এছাড়া সাউদি, প্যাটেল, হেনরি, নিশাম ও উইলিয়ামসন ১টি করে উইকেট নেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৩ জানুয়ারি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ৬ ও ৮ জানুয়ারি।

বিবার্তা/প্লাবন