রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদ।
তিনি বলেন, ‘মহামান্য উচ্চ আদালত রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি) ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের (এয়ারটেল) একীভূতকরণের পক্ষে রায় দেয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই রায়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে আমাদের অংশগ্রহণকে আরও জোরালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার আদালত রবি-এয়ারটেল একীভূত হতে অনুমোদন দিলে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় রবি।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (আজিয়াটা) ও ভারতী এয়ারটেল অব ইন্ডিয়া (ভারত) বাংলাদেশে তাদের কোম্পানিগুলাকে একীভূতকরণের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ওই চুক্তির ভিত্তিতেই এ অনুমোদন দিয়েছে উচ্চ আদালত।
রবির সিসিপিও বলেন, ‘উচ্চ আদালতের এই রায় বাংলাদেশের একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা এবং একীভূতকরণের চুক্তিতে উল্লিখিত আইনসম্মত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সেই হিসেবে ২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে আমরা আশা করছি’।
সিসিপিও আরও বলেন, ‘আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ, ভারতী এয়ারটেল, এনটিটি ডকোমো ও তাদের স্টেক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, সকল স্টেকহোল্ডার ও গণমাধ্যম বন্ধুদের ধন্যবাদ রএবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গঠনমূলক ও সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে এই একীভূতিকরণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে থাকবে’। পাশাপাশি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে আমাদের অংশগ্রহণকে আরও জোরালো করতে এই অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
‘একই সাথে একটি গ্রাহককেন্দ্রিক কোম্পানি হিসেবে দেশ জুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের আওতায় আরো বেশি সংখ্যাক গ্রাহকের হাতে টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দেয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত’।
বিবার্তা/উজ্জ্বল/প্লাবন