মঙ্গল হলো সূর্য থেকে চতুর্থ দূরবর্তী গ্রহ এবং বুধের পরেই সৌরজগতের দ্বিতীয়-ক্ষুদ্রতম গ্রহ। ইংরেজি ভাষায় মঙ্গল গ্রহ রোমান পুরাণের যুদ্ধদেবতা মার্সের নাম বহন করে এবং প্রায়শই এই গ্রহটিকে “লাল গ্রহ” নামে অভিহিত করা হয়। পৃথিবীর প্রতিবেশি এই গ্রহের সাথে কি কি মিল বা অমিল রয়েছে তা জানার জন্য অনেকেই আগ্রহী থাকেন। সম্প্রতি নাসা মঙ্গল গ্রহের আদ্যোপান্ত প্রকাশে আনল।
বহিরঙ্গে বিশেষ ফারাক নেই। তাই সৌর পরিবারের এই গ্রহটিতে প্রাণের সন্ধান করা হয়েছে বেশ কয়েক বার। তবে সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, মঙ্গল এবং পৃথিবীর অন্দর-গঠনে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। অচেনা মঙ্গলকে আরও নিবিড় ভাবে চেনার জন্য মঙ্গল গ্রহে কাজ চালাচ্ছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো ‘রোবোটিক ইনসাইট ল্যান্ডার’।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন পৃথিবী এবং মঙ্গলের ভূঅভ্যন্তর সম্পূর্ণ আলাদা। রোবোটিক ল্যান্ডারের মাধ্যমে ভূকম্প তরঙ্গ পাঠিয়ে দেখা গিয়েছে পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের কেন্দ্রস্থল অনেক বেশি অগভীর। পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল অর্ধগলিত লোহা দিয়ে তৈরি হলেও, লালগ্রহের কেন্দ্রের প্রায় ২০ শতাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে লোহার তুলনায় অনেক হালকা সালফার। গ্যাসীয় উপাদান হিসাবে রয়েছে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন। সৃষ্টির গোড়ার দিনে কোন কোন উপাদান দিয়ে গ্রহগুলি তৈরি হয়েছিল, তাদের কেন্দ্রস্থল পরীক্ষা করে তার একটা আভাস পাওয়া যায়।
পৃথিবীর কেন্দ্রে লোহার আধিক্য নীলগ্রহের অভ্যন্তরকে সচল রেখেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্য দিকে, বিজ্ঞানীদের একাংশের অনুমান ভারী মৌলের অভাবে সুদূর ভবিষ্যতে ঘূর্ণনের শক্তি হারাতে পারে মঙ্গল। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে নাসা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]