
পরাজয় ও ব্যর্থতা আসতেই পারে, কিন্তু সেটা যদি ভুলে যাওয়া হয় তাহলে জীবনের ফাইনাল পরাজয়টা হয় বলে মন্তব্য করেছেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ৫৩ বছর ধরে জাতি উল্টো পথে ঘুরছে। প্রসাশনের মধ্যেই একটা বড় কলোনিয়াল ব্যাপার আছে। ৫৩ বছর ধরে এটা ভুলিয়ে রাখা হয়েছে। ২৪ সালে দেখছি এমন একটা ব্যবস্থায় এসেছে যে, রাষ্ট্র তার জনগণকে গুলি করছে। পুলিশকে গুলি করার অধিকার কে দিয়েছে?
প্রশাসনের চাকরি মানেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ চেয়েছিল জনব্যবস্থার জন্য এমন একটি প্রশাসন তৈরি হবে, যেখানে মানবসেবা হবে। প্রায়ই আমার ক্যাডার বন্ধুদের বলতে শুনি, যে অন্যান্য প্রশাসনে ক্যাডারদের দক্ষতার অভাব আছে। চাকরিতে ঢুকেছেন বলেই, একেবারে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, এটা তো ঠিক নয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, সব জায়গায় বিশেষজ্ঞের দরকার আছে । তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করছে এমন একজন সচিব, যার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। তিনি ঠিক করছেন স্বাস্থ্যনীতি কী হবে! পলিসি মেকিং জায়গাতে নীতি নির্ধারক স্তর এমন কাউকে থাকতে হবে যিনি থাকবেন সমমর্যাদার। কাঠামোগত জায়গা ঠিক করতে হবে। যেখানে যে বিশেষজ্ঞ দরকার আছে, সেখানে তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
প্রত্যেক ক্যাডারের মানুষকে তাদের সর্বোচ্চ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত যেতে দিতে হবে দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধির জায়গা তৈরি করে দেয়া হোক। অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেখানে দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞরা নিয়োগ পান এবং প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা করেন। অথচ আমাদের একটা উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে কী কী মেশিনারিজ লাগবে সেটি নির্ধারিত হয় না। বরং কী কী করে দুর্নীতি করা হবে সেই কাজ করা হয়।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]