পাঁঠা ছাগলে দিচ্ছে দুধ, এমন অবাক করা ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ায়। ক্ষুদ্র খামারি আবুল কাশেমের এই পাঁঠা ছাগল দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন তার বাড়িতে। এ ঘটনাকে কেউ অলৌকিক বললেও এলাকাবাসী বলছেন এর আগে কখনো পাঁঠা ছাগলকে দুধ দিতে দেখেননি। অনেকে আজব ঘটনা বললেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটাকে জেনেটিক ফ্যাক্ট এর কথা বলেছেন।

কুষ্টিয়া সদরের নগর মোহাম্মদপুর গ্রামের আবুল কাশেম প্রায় ৩০ বছর ধরে ছাগল পালন ও প্রজনন সেবা দিয়ে আসছেন। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার খামারের পাঁঠা ছাগল বিক্রি হয়ে থাকেন। হঠাৎ করেই তার খামারের একটি পাঁঠা ছাগল দুধ দিতে শুরু করে। প্রতিদিন আধা কেজি করে দুধ সংগ্রহ করা হয়। এমন খবর এলাকার ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় করে তার বাড়িতে। আবুল কাশেম জানান, তার খামারে ৫০ থেকে ৬০টি পাঁঠা ছাগল রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকদিন ধরে ৩বছর বয়সী একটি পাঁঠা ছাগল দুধ দিতে থাকে। সংগ্রহ করা দুধ তারা পান করছেন। অনেকে আবার শখ করেও খাচ্ছেন।

দেখতে আসা দর্শনার্থী ও এলাকাবাসীরা বলছেন এমন আজব ঘটনা এরআগে কখনো দেখিনি। পাঁঠা শুধু প্রজনন কাজে ব্যবহার করা হয় বলে জানতাম, এখন দেখছি দুধও দিচ্ছে। এটা অলৌকিক ঘটনাও হতে পারে।

তবে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, এটি সাধারণ ঘটনা না হলেও কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়। এটাকে জেনেটিক ফ্যাক্ট বলা হয়ে থাকে। হরমনগত পরিবর্তনের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আর দুধের বিষয়টি ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যাবে খাবার উপযোগী কি না।

অলৌকিক বা আজব ঘটনা যেটাই ঘুটক পরীক্ষা না করে পাঁঠা ছাগলের সংগ্রহ করা দুধ না খাওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের।

বিবার্তা/শরীফুল/এসএস