গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ এর প্রধান সমন্বয়ক হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক উন্নয়নশীল দেশ এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে। দৃঢ় শাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নীতিগত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সহায়তা করেছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে, ভারত প্রবৃদ্ধির অংশীদার হতে পেরে খুশি।
ব্রিটিশ লেখক স্যামুয়েল রিচার্ড প্রণীত ‘বাংলাদেশ: ফ্রম বাস্কেট কেস টু এশিয়ান টাইগার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রিংলা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন মিশনের বঙ্গবন্ধু হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বইটিতে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতীয় সাবেক কূটনীতিক শ্রিংলা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়, তখন পাকিস্তান ছিল প্রবৃদ্ধির দেশ এবং বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন, কারণ পাকিস্তানই এখন তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে এবং বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিক থেকে এশিয়ান টাইগার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সাবেক এ কূটনীতিক আলোচনাকালে উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সংযোগ ও জ্বালানি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে যৌথভাবে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।
অন্যান্যদের মধ্যে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. প্রবীর দে এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের প্রফেসর ধীরাজ শর্মা আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গবেষণা ও তথ্য ব্যবস্থা (রিস)-এর অধ্যাপক ড. প্রবীর দে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে কানেক্টিভিটির (সংযোগ) বিষয়টি উল্লেখ করেন।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট রোহতক-এর পরিচালক অধ্যাপক ধীরাজ শর্মা, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বকে মূল অনুঘটক হিসেবে অভিহিত করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ এই সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
একইসাথে বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি উল্লেখযোগ্য অংশীদার হওয়ায় ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনের মিনিস্টার (কন্স্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং বইটির উপরে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, স্বাগতিক দেশের বিশিষ্টজন, সাংবাদিকবৃন্দ, মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]