চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও তাদের বংশধররা এখনো বঙ্গবন্ধুকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের মনে এখনো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আক্রোশ। আর তাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। মির্জা ফখরুলকে বলবো, এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে সাভার উপজেলার হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা ১৪ দলের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কেন ভাঙচুর করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন রেখে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গত বুধবার চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে। গতকাল আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে এর জবাব চেয়েছেন। এই সভা থেকে বলতে চাই, মির্জা ফখরুল আপনাদের জবাব দিতে হবে। কোনো কারণ ছাড়াই কেন ভাঙচুর করেছেন?
পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, বঙ্গবন্ধু ওপর আঘাত হানা মানে স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানা। এই জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় জনগণ আপনাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে— বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল বললেন, কিছু চিঠির কারণে নাকি সরকারের হাঁটু কাঁপা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাঁটু কাঁপে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজাকারের বংশধরদের হাঁটু ভাঙার ক্ষমতা রাখে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা খুশিতে আত্মহারা। কারণ ওনাদের ভরসা বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি প্রভুর উপর নির্ভর করেন না। তাই এসব চিঠিতে কিছু যায় আসে না। যারা টাকা খেয়ে চিঠি লিখছেন, আপনাদের নৈতিকতা নিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে প্রশ্ন উঠছে। বিএনপি-জামায়াতের টাকা খেয়ে চিঠি লেখা বন্ধ করুন। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এসব চিঠির দুই পয়সা দাম দেয় না।
হানিফ বলেন, যারা একাত্তরে রাজাকার ছিল, এখনো তারা রাজাকার। এই অপশক্তিকে রাজপথে মোকাবিলা করে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনে আমরা দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবো।
জনসভায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ প্রমুখ। জনসভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।
বিবার্তা/সোহেল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]