সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। রাতভোর অভিযান চালিয়ে সিকিমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বিদেশী পর্যটকরাও আছেন।
গত ১৬ জুন থেকে অবিরাম বর্ষণের কারণে পাহাড়ি রাস্তায় ধ্বস নেমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ভারতের সিকিম। প্রাথমিকভাবে জানা যায় বিভিন্ন হোটেলে অবরুদ্ধ পড়েছেন ২০০০ পর্যটক। যদিও উদ্ধার অভিযানে নেমে জানা যায় প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৩৫০০। এরপরেই উদ্ধার অভিযানে নামে ভারতীয় সেনার স্ট্রাইকিং লায়ন ডিভিশন, ত্রিশক্তি কর্পস এস এস বি, আইটবিপি এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের সদস্যরা। প্রবল পাহাড়ি স্রোতের ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আকস্মিক বন্যা কবলিত এলাকায় তৈরি করা হয় অস্থায়ী ক্রসিং (সেতু)। আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে পাঠানো হয় ১৯ টি বাস এবং প্রায় ৭০ টি ছোট ছোট।
ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পর্যটকদের উদ্ধারের সময় সেনা সহযোগিতায় তাদের রীতিমত উত্তাল নদী পার হতে হয়েছে। অনেকে হোটেলে অবরুদ্ধ থাকলেও ধসের কারণে বহু পর্যটক আটকা পড়েন সড়কে গাড়ির মধ্যেই। দীর্ঘ সময় খাদ্য, পানীয়র অভাবে তাদের অনেকের অবস্থাই বেশ নাজুক। অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাদের উদ্ধারের পরে গরম খাবার, তাবু এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ী ক্রসিং থেকে প্রায় ২০০০ পর্যটককে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিআরও ধস সরিয়ে রাস্তা পুনরুদ্ধার ও সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আজ রোববারের মধ্যেই প্রাথমিক সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এর মধ্যেই পর্যটকদের উদ্ধারের কাজও চলমান থাকবে। আপাতত পর্যটকদের জন্য আরোও তাবু স্থাপন করা হচ্ছে এবং মেডিকেল এইড পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটকদের পরবর্তী যাত্রার জন্য রুটটি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।
এর আগে শনিবার সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত লাচেন এবং লাচুং এলাকার বিভিন্ন হোটেলগুলিতে আটকা পড়েছেন বাংলাদেশী সহ দেশী বিদেশী প্রায় ২০০০ পর্যটক।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]