
সপরিবার কোথাও ঘুরতে যাবেন বলে মনস্থ করেছেন? গত ডিসেম্বরেও এক বার কেরল ঘুরতে যাওয়ার কথা হয়েছিল। তবে, ছোট বাচ্চা নিয়ে এত ঠান্ডায় মুন্নার যাওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারেননি।
অনেকের কাছেই শুনেছেন, বর্ষায় কেরল নাকি আরও সুন্দরী হয়ে ওঠে। এক এক ঋতুতে এক এক রকম রূপ ধারণ করে কেরল।
বছরের যে কোনও সময়েই কেরল যাওয়া যায়। তবে, আদর্শ সময় হল পুজোর পর থেকে বসন্তকাল পর্যন্ত। বড়দিনের সময়ে স্কুল-কলেজে টানা ছুটি থাকে। সেই সময়েও উপকূল অঞ্চলগুলিতে পর্যটকেরা ভিড় জমান।
প্রতি দু’বছর অন্তর ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে কোচি দুর্গে আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনী হয়। এটিও শিল্পপ্রেমীদের কাছে বিরাট আকর্ষণের জায়গা। তবে, দেশের অন্যান্য জায়গার মতোই মার্চ থেকে মে মাসে কেরলের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
কখনও কখনও তা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
কেরল মানে শুধু নারকেল গাছে ঘেরা সমুদ্র নয়। রয়েছে পাহাড়ের কোলে বিখ্যাত শৈলশহর মুন্নার।
বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে মুন্নার যাওয়ার আদর্শ সময় শীতকাল। তবে, বাচ্চা কিংবা বয়স্কদের নিয়ে যেতে গেলে গরমকালই ভাল।
তখন এখানকার আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে। বর্ষাতেও পাহাড়ের রূপ দেখার মতোই। চাইলে বর্ষাকালেও সেখানে যেতে পারেন। তবে, মাঝে মাঝে পাহাড়ী রাস্তায় ধস নামে। তাই সে বিষয়ে একটু সতর্ক থাকা জরুরি।
সবুজসুন্দরী কেরল আরও সতেজ হয়ে ওঠে বর্ষাকালে। এই সময়ে দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার জন্য কেরলে আসেন। তা ছাড়া বর্ষায় আথিরাপল্লি এবং ত্রিশূর জলপ্রপাত দেখেও মন ভরে যাবে।
যদিও বর্ষাকালে ভারতের প্রায় সব জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য বন্ধ থাকে। তবে, আগে থেকে ব্যবস্থা করা থাকলে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজে হাতির পিঠে পেরিয়ার জাতীয় উদ্যানে সাফারি করে ফেলতেই পারেন।
কী ভাবে যাবেন?
বিমানে তিরুঅনন্তপুরম কিংবা কোচি। ট্রেনে গেলে হাওড়া থেকে সরাসরি তিরুঅনন্তপুরম বা কোচিগামী ট্রেন না ধরে চেন্নাই হয়ে যাওয়াই সুবিধাজনক।
কেরল ঘুরতে যাওয়ার জন্য কোন সময় আদর্শ?
কেরলে থাকার ব্যবস্থা কেমন?
কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, কোট্টায়াম, কুমিলি, মুন্নার, কোচি ইত্যাদি পর্যটকপ্রিয় স্থানগুলির কোনওখানেই থাকার জায়গার অভাব নেই। নানা মানের বেসরকারি হোটেলের পাশাপাশি প্রতিটি স্থানেই আছে কেরল পর্যটনের নিজস্ব পর্যটক আবাস।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]