ঈদের ছুটিতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫০
ঈদের ছুটিতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অত্যাশ্চর্য সূর্যাস্ত, স্বচ্ছ নীল জল ও সাদা বালির সমুদ্র সৈকত, এইসব যদি একসঙ্গে দেশের মাটিতে পেতে চান তাহলে আপনার উপযুক্ত গন্তব্যস্থল হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। বঙ্গোপসাগর, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ৩০০টিরও বেশি দ্বীপপুঞ্জের ছুটি কাটানো জন্য উপযুক্ত পছন্দ।


আন্দামান ৩৪৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি বিস্তীর্ণ ভূমি। তবে বিশাল এই স্থানের মাত্র ১০ শতাংশ দেখতে পারেন পর্যটকরা। এই দ্বীপ নির্মল সৈকত ও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত।


আন্দামানে দেখার মতো অনেকে জায়গা আছে যেমন- পোর্ট ব্লেয়ার, হ্যাভলক দ্বীপপুঞ্জ, বারাটাং দ্বীপ, নীল দ্বীপ, রস দ্বীপ, রাঙ্গাট ও দ্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপ। এসব স্থানে অবশ্যই ভ্রমণ করুন।


আন্দামান ও নিকোবর বেড়াতে এই পাঁচ আকর্ষণীয় ও স্বর্গীয় জায়গায় যেতে ভুলবেন না যেন। তাহলে জীবনে সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা থেকে বাদ থেকে যেতে পারে।


রাধারনগর সৈকত, হ্যাবলক- এশিয়ার অন্যতম সেরা সমুদ্র সৈকত হিসেবে পুরস্কৃত এই সৈকত মনোরম দৃশ্য, প্রাচীন সাদা বালি, স্ফটিক স্বচ্ছ নীল জল আপনাকে বারবার আকর্ষণ করবে।


সেলুলার জেল, পোর্ট ব্লেয়ার- ১৮৯৬ থেকে ১৯০৮ সালের মধ্যে নির্মিত এই কারাগারে শত শত মুক্তিযোদ্ধার আবাস ছিল। কারাগারটি কালা পানি নামে পরিচিত। কারাগারটি ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল।


নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস দ্বীপ- আগে রস দ্বীপ নামে পরিচিত, এটি পোর্ট ব্লেয়ারের কাছে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এই দ্বীপটি রাজ্যের ব্রিটিশ কলোনির সদর দপ্তর হিসেবে বিখ্যাত।


কালা পাথর সমুদ্র সৈকত-  সাদা বালি, স্বচ্ছ নীল জল এবং বড় কালো পাথরের একটি নিশ্ছিদ্র সমুদ্রতীর। হ্যাভলক দ্বীপের আগে অবস্থিত, সৈকতের নামটি ব্ল্যাক রোড নামে পরিচিত। 


ভাইপার দ্বীপ- এই দ্বীপটি পুরনো কারাগারের জন্য বিখ্যাত, এখানে আপনি সূর্যাস্ত এবং শান্তি উপভোগ করতে পারেন।


স্কুবা ডাইভিং- বিখ্যাত প্রবাল প্রাচীর এবং বিস্তৃত জলজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর সাক্ষী থাকতে এই দুঃসাহসিক স্কুবা ড্রাইভিং করতে পারেন। সমুদ্রের সর্বোচ্চ সাত মিটার গভীরতায় সমুদ্রের তলায় হাঁটতে পারেন।


গ্লাস বটম বোট রাইড- গ্লাস বটম বোট রাইড দিয়ে জলের নিচে রহস্য অন্বেষণ করতে পারেন। জলের নীচে রংবেরঙের সামদ্রিক মাছ, কোরাল প্রভৃতি খুব কাছ থেকেই দেখতে পাবেন।


আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ব্যবহৃত মুদ্রা হলো ভারতীয় রুপি। আর মালদ্বীপের মুদ্রা হলো রুফিয়া। তবে মালদ্বীপের বেশিরভাগ ব্যক্তিগত দ্বীপ রিসোর্ট শুধু মার্কিন ডলার গ্রহণ করে।


আন্দামানে ৪-৫ দিনের ভ্রমণে আপনাকে গুনতে হবে ১৫০০০-৩৫০০০ টাকা। তবে খরচ নির্ভর করে আপনি কোন রিসোর্ট বা হোটেল, ফ্লাইট টিকিট ও অন্যান্য কী কী খরচ করবেন তার উপর।


আন্দামানে গিয়ে আপনি এখানে একটি গাড়ি ভাড়া করতে পারেন, তাহলে বেশ কম খরচে ঘুরতে পারবেন। আর ফ্লাইটের খরচ কমাতে অব সিজনে টিকিট বুক করুন। এতে অর্থ সাশ্রয় হবে।


বাজেটের মধ্যে থাকতে চাইলে আন্দামানে ২০০০-৩০০০ টাকায় রুম পেয়ে যাবেন। আর প্রিমিয়াম হোটেলগুলোর খরচ পড়বে রুমপ্রতি ৫০০০-৮০০০ টাকা পর্ন্ত। আর পাঁচ তারকা বা বিলাসবহুল হোটেল রুমে থাকতে চাইলে খরচ করতে হবে ১৭০০০-৪০০০০ টাকারও বেশি।


আন্দামানে সব ধরনের খাবার পাবেন। খাবারে প্রধানত তাজা সামুদ্রিক খাবার থাকে। বিপুল সংখ্যক পর্যটকের কারণে, সেখানে অনেক রেস্তোঁরা ও ক্যাফে ইতালীয়, চাইনিজ ও মহাদেশীয় খাবার সরবরাহ করে।


আপনি যদি আন্দামানে যান, তাহলে অবশ্যই মাছের তরকারি, মাছের ঝোল, বারবিকিউ খাবার, খাদি কাঁকড়ার স্বাদ নিন। সেখানে খেতে আপনার প্রতিজনের খাবারে খরচ পড়বে ৩০০০-৬০০০ টাকা।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com