বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে হওয়া মানহানির মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার বাদী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি নিয়ে বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম অমিত কুমার দে আবেদনটি মঞ্জুর করে মামলা খারিজের এ নির্দেশ দেন।

শুনানিতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের কারণ সম্পর্কে বাদী ওবায়েদুল্লাহ বলেন, শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি ছাপানোর বিষয়টি নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরবর্তীতে মূল ছবি দেখে ভুলের অবসান হয়েছে। এ কারণে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করেছিলেন ইউএনও তারিক সালমান। আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এ অভিযোগে গত ৭ জুন তার বিরুদ্ধে বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন ওবায়েদুল্লাহ।

ওই মামলায় গত বুধবার বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে ইউএনও সালমন জামিন চাইলে আবেদন নাকচ করে তাকে হাজতে পাঠানো হয়। দুই ঘণ্টা পর আবার জামিন দেন একই বিচারক।

আদালত প্রাঙ্গণে তারিককে পুলিশ ধরে নেয়ার ছবি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে বিবৃতি দেয় সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে মামলার বাদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদউল্লাহ সাজুকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে, তারিক সালমনকে নাজেহালের ঘটনার দিন বরিশাল আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের ছয় সদস্যকে শনিবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। বরিশাল মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার নাসিরুদ্দিন জানান, ‘প্রশাসনিক কারণে তাদের আদালত থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি