প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের সকালের নিয়োগ পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি) বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ১৯ মে, শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (সিনিয়র অফিসার) পদে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষা ছিল। দুই লাখের বেশি প্রার্থী থাকায় সকাল ও বিকেলে- দুই শিফটে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া অভিযোগ ওঠে। তা সত্ত্বেও সকালের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিকেলের পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নেয়া সকালের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরীক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও পরীক্ষা গ্রহণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে সকালের পরীক্ষা বাতিল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগকে বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া ব্যাংকিং বিভাগও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এখন তারা সকাল ও বিকেলের দুটো পরীক্ষাই একসঙ্গে নেয়ার চিন্তা করছে।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আবু তালেব বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা জানতে পেরে তারা ওই দিন বিকেলের পরীক্ষা স্থগিত করেন। সকালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছে, সেটা তারা পরে জানতে পারেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা সকালের পরীক্ষা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমিটির সব সদস্য বৈঠক করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।

আবু তালেব জানান, এর আগে স্থগিত হওয়া বিকেলের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন তারা সকাল ও বিকেলের পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়ার কথা ভাবছেন। কারণ, একসঙ্গে পরীক্ষা না নিলে নানা প্রশ্ন ওঠে। কেউ বলেন, সকালের প্রশ্ন সহজ। আবার কেউ বলেন, বিকেলেরটা সহজ। একসঙ্গে পরীক্ষা নিলে ঝুঁকিও কমে।

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি