শিরোনাম
‘ফেসবুক থেকে প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিলে ফল বাতিল’
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৫:৪৭
‘ফেসবুক থেকে প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিলে ফল বাতিল’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই শিক্ষার্থীর ফল বাতিল করবে সরকার। 

 

বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এ কথা বলেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে সচিব বলেন, ‘ফেসবুক অ্যাডমিন বা যারা এর সাথে জড়িত, তার তথ্যও আমাদের দরকার। আমরা যদি আগামীতে কোনো প্রমাণ পাই- কোনো শিক্ষার্থী ফেসবুক থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিয়েছে, তাহলে তার ফল বাতিল করা হবে। কারণ জাতি গঠনে আগামী প্রজন্ম যদি এভাবে নষ্টের দিকে এগিয়ে যায়, আর আমরা যদি তা প্রতিরোধ করতে না পারি তাহলে এই দায়দায়িত্ব আমরা কোনোমতেই এড়াতে পারব না।’

 

গত কয়েক বছর ধরে অভিযোগ ওঠে, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ার পর ওই প্রশ্নেই বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নিয়েছে সরকার। মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আগের রাতে ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই এবারের এসএসসির ঢাকা বোর্ডের গণিতের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে’ যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে।

 

সোহরাব হোসাইন বলেন, যারা প্রশ্ন পেতে প্রলুব্ধ করছেন এবং যারা প্রলুব্ধ হচ্ছেন উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ অন্যায় যিনি করেন এবং অন্যায়কে যিনি সহায়তা করেন উভয়ই সমান অপরাধী। আমরা যদি সেই পর্যায়ে না যাই তাহলে আমাদের ছাত্র-অভিভাবকদের মধ্যে লোভ থেকে যাবে। আমরা সেটাও প্রতিরোধ করতে চাই।’

 

সচিবের বক্তব্যের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করা হবে। এর সাথে শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা স্কুল কিংবা অভিভাবক যার বিরুদ্ধে তথ্য থাকবে তার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সভার শুরুতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থার একটি ‘ডেডিকেটেড ইউনিট’ কাজ করছে। গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম জানান, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় গত দুই মাসে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন অধ্যক্ষ, তিনজন শিক্ষক, একজন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এবং ২০ জন ছাত্র। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবারের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিনও রয়েছেন তাদের মধ্যে।

 

প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ সংক্রান্ত আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com