শিরোনাম
কেএম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৭, ১২:২৮
কেএম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আজ গণতন্ত্রের সিংহপুরুষ, বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়েদুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬২সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলনে, ৬৯ য়ের গণ অভ্যুত্থানে, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে, এবং সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে সাড়ে তিন বছরসহ মোট ১৪ বছর কারাবরণ করেছেন।


এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা বিএনপির সাবেক মহাসচিব, মুক্তিযুদ্বের অন্যতম সংগঠক ও সারেক মন্ত্রী কেএম ওবায়দুর রহমান ১৯৪০ সালের ৫ মে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম কেএম আতিকুর রহমান এবং মাতা মরহুমা রাবেয়া রহমান। তিনি ১৯৫২ সালে নগরকান্দা এমএন একাডেমীর ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে এমএন একাডেমী থেকে মেট্রিক পাস করে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন।


১৯৫৬ সালে তৎকালীন পুর্ব পাকি¯হান ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৫৭-৫৮ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২-৬৩ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ১৯৬৬-৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।


মাত্র ৩০ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পরে ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৭০ ও ৭৩ সালের নির্বাচনে যে তিনজন (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কে এম ওবায়দুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদ) নেতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কেএম ওবায়দুর রহমান। মুক্তিযুদ্বের অন্যতম সংগঠক হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ছিল গৌরবোজ্জল ভূমিকা।


১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রনালয় এবং পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনণলয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠায় ও বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহযোগী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন ও বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


কেএম ওবায়দুর রহমান প্রজ্ঞায়, বাগ্নিতায় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় ছিলেন বরেণ্য জননেতাদের একজন। জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকার উন্নয়নেও বিশাল অবদান রেখে গেছেন। যা তাকে ফরিদপুরের নগরকান্দা- সালথায় নন্দিত জননেতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিল। কারাগারে বন্দী থেকেও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।


কে এম ওবায়দুর রহমান ছিলেন একজন প্রাজ্ঞ পার্লামেন্টিরিয়ান। জাতীয় সংসদে তার দেয়া বক্তৃতাসমুহ এর প্রমাণ। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বক্তব্য খণ্ডন এবং নিজের বক্তব্যের যথার্থতা প্রমানে তিনি ছিলেন চৌকস। তার বাক্যবানে প্রতিপক্ষ ধরাশায়ী হতো সহজেই। কিন্তু সে বক্তব্যে থাকতো না কোন শ্লেষ, থাকতো না কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ। আর সে জন্য কে এম ওবায়দুর রহমানের বক্তৃতায় সংসদ হয়ে উঠতো প্রাণবন্ত।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com