পর্ব-১
'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সহযাত্রী হতে চান সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৮
'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সহযাত্রী হতে চান সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা
সোহেল আহমদ
প্রিন্ট অ-অ+

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের বাকি মাত্র আড়াই মাস। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে আওয়ামী লীগে। জাতীয় নির্বাচনের ভোটযুদ্ধের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে চলছে মনোনয়নযুদ্ধ। দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর এবং সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে আসনভিত্তিক জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা। এই দৌড়ে আছেন বর্তমান মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ীরা- বসে নেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও।



বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের ২৬১ জন সদস্য রয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে অন্তত ১০০ সংসদ সদস্য তাদের অপকর্ম ও অজনপ্রিয়তার কারণে আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতা, ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং দলের তৃণমুল নেতাদের উপেক্ষা করাসহ নানামুখী কারণে তারা মনোনয়ন দৌড় থেকে ছিটকে পড়তে পারেন। ফলে আগামী নির্বাচনে তাদের পরিবর্তে তরুণ, জনপ্রিয় সাবেক অনেক ছাত্রনেতা প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।



সূত্র জানায়, বিগত দুই সংসদ নির্বাচনে বিত্তশালী ব্যবসায়ীদের প্রভাবে সাবেক ছাত্রনেতারা অনেকটা কোনঠাসা অবস্থায় ছিলেন। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী শ্লোগান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন তারুণ্যনির্ভর যোগ্য নেতৃত্ব। আর সে বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে ত্যাগী, দুর্দিনের ছাত্রলীগ নেতাদের বড় একটি অংশ মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন অনেকে। সাবেক ছাত্রনেতারা বলছেন, মনোনয়ন পেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সহযাত্রী হতে চান তারা।


এদিকে, সাবেক ছাত্রনেতারা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে নেই। অন্যবারের মতো এবারও সক্রিয় সাবেকরা। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজ নিজ এলাকায় তৎপর অনেক আগে থেকেই। কর্মীদের সঙ্গে গড়ে তুলছেন নিবিড় সখ্যতা- নিয়মিত পালন করছেন রাজনৈতিক কর্মসূচি। এর পাশাপাশি নানা সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে জানান নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।



মনোনয়ন দৌড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা


১৯৪৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০টি কমিটি হয়েছে। এরমধ্যে সাবেক ২৯ কমিটির ৫৮ জন সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে ২৭ জন এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সক্রিয়। তাদের মধ্যে মাত্র নয়জন বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তারা হলেন- তোফায়েল আহমদ, ওবায়দুল কাদের, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, ইকবালুর রহিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, নজরুল ইসলাম বাবু ও মাহমুদ হাসান রিপন। জানা গেছে, এবারের নির্বাচনেও দলের পছন্দের তালিকায় তারা রয়েছেন।



সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৭ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিয়মিত সময় দিচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। জানতে চাইলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি রাজনীতির মাঠে রাজনৈতিক কর্মীরা যত প্রাধান্য পাবেন তত বেশি রাজনীতি পরিশুদ্ধ হবে, পরিশীলিত হবে। সেই জায়গায় ছাত্ররাজনীতি করে উঠে আসা মানুষগুলো যদি নেতৃত্বে আসে তাহলে এটি রাজনীতির জন্য অনেক বড় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।


তিনি বলেন, আমি সবসময় এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই। তাই সময়-সুযোগ হলেই তাদের কাছে ছুটে যাই। আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের শক্তিই জনগণ। তাই যত বেশি জনগণবেষ্টিত থাকা যায়, সেই চেষ্টা করি।


কিশোরগঞ্জ–৫ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন। তিনি বিবার্তাকে বলেন, মনোনয়ন দেয়ার মালিক মনোনয়ন বোর্ড এবং সর্বোপরি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি আমাদেরকে মূল্যায়ন করেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জাতীয় রাজনীতি অথবা পার্লামেন্টে আমরা যেতে পারিনি। এটা উনি ওনার বিবেচনা বোধ থেকে করেছেন। আমি ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। বারবার কারাগারে গিয়েছি, আন্দোলন করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নিকট প্রার্থনা থাকবে আমাদের দিকে তাকান। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযাত্রী হতে চাই।


তিনি বলেন, আমরা কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। গত ১৫ বছরে আমাদের গায়ে কোনো কালিমা লাগেনি। বরং আমরা জনগণের সাথে সম্পক্ত আছি। জনগণের কাছে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন কাজ করেছেন, সেই অগ্রযাত্রাকে আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমরা এই ১৫ বছরে অন্যায় করিনি বরং কেউ অন্যায় করে থাকলে প্রতিবাদ করেছি। মনোনয়ন দিলে আমরা ভালো করব। কোনো পক্ষপাতিত্বে নেই এবং ছিলামও না। আশা করি, এবার অবশ্যই নেত্রী আমাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার মূল্যায়ন করবেন।


মনোনয়ন পেলে জামালপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি। তিনি বিবার্তাকে বলেন, যেকোনো গাছের শেকড় মজবুত না হলে হয় না। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ প্রাচীন একটি সংগঠন। আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক আভিজাত্য আছে। এই আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ যারা করে আসছে, রাজনীতিতে যদি তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয় তাহলে রাজনীতির ভবিষ্যৎ এবং দেশের ভবিষ্যৎ দুটোই ভালো হবে।


তিনি বলেন, যেকোন জায়গায় মা-বোনেরা দায়িত্ব পেলে অনেস্টলি দায়িত্ব পালন করেন। মেয়েদের ম্যানেজমেন্টও ভালো। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদাহরণ। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দল যদি নারীদের প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসে তাহলে দেশ ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আরো সমৃদ্ধ হবে।


শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিক কোতয়াল। তিনি বিবার্তাকে বলেন, ছাত্ররাজনীতি হলো রাজনীতি শেখার পাঠশালা। সাবেক ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে না গেলে রাজনীতি ব্যবসায়ী, আমলাদের কাছে চলে যাবে। রাজনীতিবিদদের কাছে রাজনীতি রাখতে হলে যারা জনপ্রিয় ছাত্র নেতা ছিলেন, যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আছে তাদের সংসদে নিয়ে আসলে সংসদ আরো প্রাণবন্ত হবে এবং সেটাই হওয়া উচিত। আগামীর লিডারশিপ ডেভেলপ করার জন্যও যারা ছাত্র রাজনীতি করে এসেছে তাদের মূল্যায়ণ করা দরকার।


তিনি বলেন, দলের নেতারা অনেক প্রাজ্ঞ। তারা সবকিছু বিবেচনা করে যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনিই মনোনয়ন পাবেন।


নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে কাজ করছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। তিনি বিবার্তাকে বলেন, যারা ছাত্রলীগ করেছে, আন্দোলনে ছিল, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারপর ওয়ান ইলেভেন নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন সেই সময় আমরা যারা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলাম- তারা যাতে দলের মনোনয়ন পান, তার সুদৃষ্টি কামনা করছি।


তিনি বলেন, যারা মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য, জনগণের সাথে আছে, শেখ হাসিনার ডাকে দলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন- তাদের মনোনয়ন দেয়া হলে তারা দেশের জন্য কাজ করবেন এবং জননেত্রীর হাত শক্তিশালী করবেন।


রাজবাড়ি-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু। নিয়মিত গণসংযোগ করছেন তৃণমূলে। এছাড়া ২০০৭ সালে ১/১১–এর সময়ে টিপুর ভূমিকার বিষয়ে আওয়ামী লীগে ইতিবাচক মনোভাব আছে।


জানতে চাইলে টিপু বিবার্তাকে বলেন, যারা ছাত্ররাজনীতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের জাতীয় রাজনীতিতে আসা উচিত। স্ব স্ব এলাকায় মনোনয়ন দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়া হলে সংগঠন শক্তিশালী হবে এবং সরকারে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে। যারা পরীক্ষিত নেতা তারাই তো দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে কাজ করে। সাবেক ছাত্রনেতারা যে যেখানে আছে তাদের সেখানে বিবেচনা করা উচিত এবং তাদেরকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার মধ্য দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয়া উচিত।


কুমিল্লা-১১ আসনটি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক-এগারো সরকারের সময়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন। জানতে চাইলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন। আমাদের সকল তরুণের ভবিষ্যত তৈরি করে দেয়া হয়তো সম্ভবপর নাও হতে পারে, তবে আমরা তারুণ্যের শক্তিকে সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ গড়ার ভবিষ্যত পথ তৈরি করে দিতে পারি। কারণ তারুণ্যই হলো আমাদের ভবিষ্যতের একমাত্র আশা।


তিনি বলেন, সকল কিছু সেক্রিফাইস করে রাজনীতি করেছি। আমরা জনগণকে সেবা দিতে জানি। চৌদ্দগ্রামের স্বাস্থ্য, শিক্ষা সেবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছি। তরুণ প্রজন্মসহ সমাজের সকল পর্যায়ের জনগণ যদি পাশে থাকে তাহলে একটি সুস্থ্য, সুন্দর উন্নত চৌদ্দগ্রাম বিনির্মাণ কঠিন কিছু নয়। এর জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা, সততা আর মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। ইনশাআল্লাহ আজকের তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়েই আগামীর চৌদ্দগ্রাম বিনির্মাণে এগিয়ে যাবো।


মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি নিয়মিত নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে। জননেত্রী এবার ঘোষণা দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবেন। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে এ সময়ের তরুণরা- যারা প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ। তরুণদের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। এই জন্য আমরা আশাবাদী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমরা যারা তরুণ আছি তাদেরকে বেঁছে নিবেন।


তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনি যত নমিনেশন দিয়েছেন, তরুণদের বেঁছে নিয়েছেন। আগামী দিনের বাংলাদেশে যারা নেতৃত্বে দিবে তাদেরকে তিনি এগিয়ে নিয়ে আসছেন। আমি আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি, আমাদের মতো তরুণদের এবং যারা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযাত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিবেন।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com