দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়বে মোংলা বন্দরের
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৮
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব বাড়বে মোংলা বন্দরের
মোংলা থেকে জাহিদ রানা
প্রিন্ট অ-অ+

ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত নেপাল ভুটানকে ঘিরে সমুদ্র অর্থনীতিতে আধিপত্য বাড়বে দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলার। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বন্দরটিতে বর্তমানে পণ্য আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিও বেড়েছে কয়েকগুণ। দেশে তৈরি পোষাক আগে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হতো। বর্তমানে মোংলা থেকেও পোষাক রপ্তানি বেড়েছে। এছাড়াও নবনির্মিত রেলপথে রেল চলাচল শুরু হলে ট্রানজিট সুবিধা পাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান। এর ফলে মোংলা বন্দরে বাড়বে ব্যাপক কর্মচঞ্চলতা।


মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের প্রথম সারির বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর সভায় ৪ হাজার ২৮২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা অনুমোদন হয়ে গেছে। তার মধ্যে চীন সরকারের ঋণ ৩ হাজার ৭৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ভারত, ভুটান, নেপাল, চীনসহ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে মোংলা বন্দর কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। জল ও স্থলভাগের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বিশ্ববাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আধুনিক বন্দর সুবিধাসহ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কনটেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড, কনটেইনার ইয়ার্ড, কার্গো হ্যান্ডেলিং সুবিধা নির্মাণ করা হবে। ২০২৭ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে রূপান্তরিত হবে মোংলা।


মোংলা বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের ট্রানজিট কার্যক্রম চলছে। ভারত এখন নিয়মিত মোংলা বন্দর ব্যবহার করছে৷ আমাদের জন্য ভারতের কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর ব্যবহারের সুযোগ আরো সহজ করতে হবে। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহনের খরচ কমবে৷ পরিবহন সহজতর হবে৷ আমরা ভারত থেকে অনেক বেশি আমদানি করি৷ আমাদের আমদানি খরচও কমবে৷ মূল কথা কানেকটিভিটি বাড়বে৷ মোংলা-খুলনা রেলপথ চালু হলে সড়কপথে আমরা নেপাল, ভুটান ও থাইল্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারব৷ তবে আমাদের সড়কগুলো আরো প্রশস্ত করতে হবে৷ মোংলা বন্দরের ক্যাপাসিটি আরো বাড়াতে হবে। বন্দরের চ্যানেলের নাব্যতা বাড়িয়ে বড় বাণিজ্যিক জাহাজ যাতে আসতে পারে সেই সুবিধা যতটা দ্রুত সম্ভব করতে হবে।


মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বিবার্তাকে বলেন, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য নতুন গতি পেয়েছে। পদ্মা সেতু এবং মোংলা-খুলনা রেলপথ বন্দরের ব্যস্ততা আরো বাড়িয়ে দিবে। এতে নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে। বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়বে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে মোংলা বন্দরের প্রভাব বাড়বে।


বিবার্তা/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com