শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সবার জন্য মঙ্গল : ড. মোমেন
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:৪৫
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সবার জন্য মঙ্গল : ড. মোমেন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যদি ফের ক্ষমতায় রাখা যায়, তা পুরো অঞ্চলের জন্য, আমাদের জন্য, ভারত, নেপাল ও ভুটান প্রত্যেকের জন্য মঙ্গল হবে।


সোমবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে জরুরি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। শেখ হাসিনা হচ্ছে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক।


মোমেন বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সম্ভবনা আছে। এখনও সময় চূড়ান্ত হয়নি।


দু'দেশের সরকার প্রধানের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট সই করেছি, চুক্তিপত্রে সই করেছি। প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের সই। আর প্রাইভেটে ১৩ মিলিয়ন।


তিনি আরও বলেন, চুক্তিপত্র অনুসারে তা থেকে আট বছরে এ পর্যন্ত চার বিলিয়ন পেয়েছি, সেগুলো যেন ত্বরান্বিত হয়, সেটা আলোচনা হতে পারে। এগুলো গুরত্বপূর্ণ ইস্যু।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঋণের সুদের হার নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা সুদের হার কম চাই। দুনিয়াব্যাপী তাদের ঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। আমরা বলব, সস্তায় বিবেচনা করলে ভালো হয়। জলবায়ু ইস্যু থাকবে, আমাদের নিয়মিত অভিবাসন থাকে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ চাই, বাণিজ্য বাড়াতে চাই।


মোমেন বলেন, চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অনেক ছাড় দিয়েছে। তবুও বাণিজ্য একপেশে হয়ে গেছে। আমরা বলব বাণিজ্য আরও বাড়াও, বিনিয়োগ কর।


ঢাকা-বেইজিংয়ের সরকার প্রধানের আলোচনায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি থাকছে কি না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদেরও কনসার্ন। পুরো অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। আমি যেখানে যাই এটা বলি।


চীনের নেতৃত্বাধীন রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, যারা এসব নিয়ে স্টাডি করেন তারা বলছেন, দেশের জন্য মঙ্গল। কিন্তু এখনও আলাপ করিনি। এখনও এটাতে সম্মতি দেইনি, সই করিনি।


তিনি আরো বলেন, ছোটখাটো ইস্যু নিয়ে আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমাদের বেসিক পলিসি শান্তি ও স্থিতিশীলতা। শুধু ভারতের জন্য না সারা অঞ্চলের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার।


ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার বৈঠক হবে কি না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখা তো হবেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে আলোচনার জন্য রাজি হয়েছেন।


ড. মোমেন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ আমরা দেখেছি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জিহাদি। এগুলো তো প্রমোট হয়েছে। দেশটা তখন রসাতলে গেছে। আফগানিস্তানে ২৯ মিলিয়ন লোক। ওখানে জিহাদি হয়েছে। দুনিয়াকে কাঁপিয়েছে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করছে।


তিনি আরও বলেন, এখানে ১৭০ মিলিয়ন লোক, আবার যদি বিএনপি-জামায়াতের মতো সরকার আসে। এখানে দেশে যদি এ রকম জিহাদি হয়, সারা অঞ্চলের জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বাঙালিদের ১২টা বাজবে তখন। এই যে সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতেছেন, ওগুলো ভুলে তখন আফগানিস্তানের মতো কষ্টে থাকবেন।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com