মধুর ক্যান্টিন; নতুন রূপে হাজারো ইতিহাসের সাক্ষী
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৩৯
মধুর ক্যান্টিন; নতুন রূপে হাজারো ইতিহাসের সাক্ষী
মো.ছাব্বিরুল ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+

মধুর স্টল, মধুর টি-স্টল ও মধুর রেস্তোরাঁ থেকে সময়ের বিবর্তনে মধুর ক্যান্টিন আজ ইতিহাসের সাক্ষী। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি এর সংস্কার হওয়া নতুন রূপ পরিণত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।


বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সব ঘটনার সাক্ষী এই ক্যান্টিন।



মধুর ক্যান্টিনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মইতিহাস। ৪৮-সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে নুরুল আমীন সরকার আরোপিত ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সভা, ৪৯-এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলন, ৫২-র আগুনঝরা দিন, ৫৪-র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী যুদ্ধ, ১৯৫৮-৬০ সালের প্রতিক্রিয়াশীল বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এ সবকিছুর সঙ্গে এর নাম জড়িয়ে আছে গভীর ভাবে।


মধুর ক্যান্টিনের বর্তমান ভবনটি শ্রীনগরের জমিদারের জলসাঘর বা বাগানবাড়ি ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বাগানবাড়ির দরবার হলটিতে তৈরি করা হয় ক্যান্টিন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কাছে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) ভবনের পাশে অবস্থিত।



মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা আদিত্য চন্দ্র। তার কনিষ্ঠ পুত্র মধুসূদনের নামে পরিচিতি লাভ করে ক্যান্টিনটি। আদিত্য চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্যান্টিনের দায়িত্ব এসে পড়ে মধুসূদনের ওপর। মধুসূদন দে’র বয়স তখন মাত্র ১২। ১৯৩৪-৩৫ সাল থেকে বাবার সঙ্গে এখানে ব্যবসা শুরু করেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) উদ্যোগে ক্যান্টিনের নাম করা হয় ‘মধুর রেস্তোরাঁ’, যা অনেকের কাছে ‘মধুর স্টল’, ‘মধুর টি-স্টল’ নামেও পরিচিতি পায়।



সততার জন্য মধুসূদন দে ছাত্র-শিক্ষকসহ সবার কাছে এতটাই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন যে, ক্যান্টিনটি ধীরে ধীরে ছাত্ররাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত তৎকালীন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর রোষানলে পড়েন মধুসূদন। ২৬ মার্চের কামানের গোলায় জর্জরিত হয় মধুর ক্যান্টিন। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সপরিবার নিহত হন মধুদা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ভবনের পেছনে শিববাড়ী এলাকায় পাকিস্তানিদের গুলিতে নিজেদের কোয়ার্টারে নিহত হলেও মধুদাকে আহত অবস্থায় জগন্নাথ হলের মাঠে মাটি খুঁড়ে অন্য শহীদদের সঙ্গে জীবিত অবস্থায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ১৬ জানুয়ারি মধুর ক্যান্টিন আবার চালু করেন মধুদার সন্তান অরুণ দে।


মধুর ক্যান্টিনে ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের ভিড় ছিল সবসময়। আসতো উঠতি কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, খেলোয়াড়। অনেকেই দাম মেটাতেন, কেউ কেউ লিখে রাখতে বলতেন। মধুদার সেই লিখে রাখার খাতাটির শিরোনাম ছিল ‘না দিয়া উধাও’। ওই খাতায় এককালেন মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শাহ আজিজ, শামসুর রহমান, আহমদ ফজলুর রহমানসহ অনেক কৃতী ব্যক্তিত্বের নাম ছিল। ষাটের দশকে অনেকেই ‘না দিয়া উধাও’ খাতায় স্থান করে নিয়েছেন।


৭১ এর পর ক্যান্টিনের হাল ধরেন মধুদার বড় মেয়ে। এক সময় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে এটি চলে আসে তার বড় ছেলে অরুণ কুমার দে’র কাছে। তিনিই মধুর ক্যান্টিন এখনো পর্যন্ত সচল রেখেছেন।


তবে মধুর ক্যান্টিনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ শিক্ষার্থীদের। তারা মনে করেন, মধুর ক্যান্টিন আর আগের মতো জৌলুশ ধারণ করে না। তাদের অনেকেই ভুলতে বসেছেন ক্যান্টিনের ঐতিহ্য। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্যান্টিনের সাথেও এটিকে তুলনা করেন এখন।


দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ক্যান্টিনের টেবিল হয়ে পড়েছিল অপরিচ্ছন্ন, দেয়ালের চারিদিকে পোস্টার, ভাঙ্গা ছাদ আর বাইরে মধুদার ভাঙ্গা আবক্ষ ভাস্কর্য । দর্শনার্থীরা এসেই হতাশ হতেন। ছাত্রনেতারা ক্যান্টিনের মধ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা ও আড্ডা দিলে বাধ্য হয়েই তাদের এখন বসতে হয় ক্যান্টিনের সামনের আমতলা আর বেলতলায়।


সম্প্রতি মধুর ক্যান্টিন সংস্করণ করা হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২২ জুন থেকে মধুর ক্যান্টিনের সংস্কারকাজ শুরু হয়, যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, মধুর ক্যান্টিনের ভেতরের সেই আগের অন্ধকারাচ্ছন্ন, অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নেই। ক্যান্টিনের ড্রেনেজ ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা সংস্করণ করা হয়েছে। উপরে অনেকগুলো নতুন বাতি লাগানো হয়েছে। তাছাড়া ফ্লোরে এবং ক্যান্টিনের বাইরের মেঝেতে নতুন টাইলস বসানো হয়েছে।


‘আমাদের প্রিয় মধুদা’ শিরোনামের ভাস্কর্যটি সোনালি রঙে রঙিন করা হয়েছে। ক্যান্টিনের আগের নামফলক ‘মধুর রেস্তোরাঁ’-এর জায়গায় নতুন করে বৈদ্যুতিক বাতিসংবলিত ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামফলক বসানো হয়েছে।


ক্যান্টিনের দৃষ্টিনন্দন এই নতুন রূপ দেখতে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের সমাগম হচ্ছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করছেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বিবার্তাকে বলেন, মধুর ক্যান্টিনের সংস্কারের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে কথা বলি। পরে তিনি এই বিষয়ে সার্বিক নির্দেশনা দেন। এরপরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ঐতিহ্যবাহী এই ক্যান্টিনের সংস্কার ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে। এখানে আগে যেভাবে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হতো, তার বিপরীতে বোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।



মধুর ক্যান্টিনের মালিক অরুণ দে বিবার্তাকে বলেন, ক্যান্টিনের ছাদটা ভেঙ্গে গিয়েছিল, চারিদিকে পোস্টার ও আবর্জনার কারণে জায়গাটার সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছিল। প্রশাসন সংস্কার করবে করবে করে করা হচ্ছিল না। আমি জানি না ঠিক কী কারণে এর সংস্কার হচ্ছিল না। অবশেষে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসার পর তারা এটা নিয়ে উপর মহলে কথা বলাতে ক্যান্টিনটা সংস্কার হয়েছে। আমি অনেক খুশি। সবসময় চাইতাম এই ক্যান্টিনটা এমন থাকুক। এই ক্যান্টিন সবসময় জমজমাট ছিল। এখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আনাগোনা হতো- সেটা সবসময়ই থাকবে আর এটাই মধুর ক্যান্টিনের ঐতিহ্য। এর ভবিষ্যৎ একেবারেই ছাত্রনেতাদের হাতে।


স্যার এ. এফ. রহমান হলের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ ইশতিয়াক রাহুল বিবার্তাকে বলেন, মধুর ক্যান্টিনের সংস্কার ও আধুনিকায়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। দীর্ঘদিন সংস্কারকাজ না করায় মধুর ক্যান্টিনের টিন, দরজা ও টয়লেটসহ বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সংস্কার কাজের মাধ্যমে মধুর ক্যান্টিনের আড্ডাতেই নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়নি, ছাত্র রাজনীতির চর্চাও নববসন্তের ছোঁয়া পেয়েছে।


মধুর ক্যান্টিনের সংস্করণ হলেও খাবারের দাম শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে, মান উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন কতিপয় শিক্ষার্থী।


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অস্বাস্থ্যকর ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে গলাকাটা মূল্য আদায়ের কারণে মধুর ক্যান্টিন তাদের আগ্রহ হারাচ্ছে। এখানকার চায়ের যে আলাদা স্বাদ ছিল, সেটিও নেই। মিষ্টিগুলোর আকারও হয়ে গেছে ছোট।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে নাম প্রকাশ না করে একজন পোস্ট করেছেন, খাবারের দামের বিষয়টাতে কখনো কাউকে কিছু বলতে দেখি না। মধুর ক্যান্টিনে সব খাবারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। ছোট ছোট সিঙ্গারা, সমুচার দাম ১০ টাকা করে। এই সিঙ্গারা সমুচার দাম ৫ টাকার বেশি হতে পারে না। স্যান্ডুইচ খেতে গিয়ে দাম শুনে আকাশ থেকে পড়েছিলাম! স্যান্ডুইচের দাম নাকি ৬৫ টাকা। অথচ ডিই কফিহাটের স্যান্ডুইচের মান মোটামুটি ভালো, তাও দাম ৫০ টাকা। মধুর ক্যান্টিনে আবার চায়ের দাম রাখে ১০ টাকা। খুবই জঘন্য স্বাদের চা, খাওয়াই যায় না। প্রায়ই নিচে চিনি জমে থাকে, ঠিকমত নাড়াও দেয় না। মোটকথা এরা সবকিছুতে গলাকাটা দাম রাখে অতি নিম্নমানের খাবার দিয়ে।


আমরা সবাই জানি মধুর ক্যান্টিন মূলত রাজনৈতিক প্রোগ্রামের জন্য ইউজ হয়। কিন্তু তাও এটা তো ক্যাম্পাসেরই অংশ। স্টুডেন্টরা তো এখানে খেতে চাইতে পারে। এটা দেখার কেউ নেই?


বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ বিবার্তাকে জানান, অবকাঠামোগত কিছু সংস্কার হয়েছে যা জরুরী ছিল যেমন: নোংরা ও জীর্ণভাব কমেছে, ওয়াশরুম উন্নত হয়েছে। কিন্তু খাবারের দাম কমেনি, খাবারের দাম বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে এখনো। খাবারের মানও আগের মত নেই। কিছু খাবার তো অখাদ্যের পর্যায়ে।


এ ব্যাপারে মধুর ক্যান্টিনের মালিক অরুন দে ও কর্মীরা বিবার্তাকে জানান, সবকিছুর দাম বেড়েছে সে হিসেবে এখানেও দাম বেশি। এখানের খাবারের দাম অন্যান্য জায়গার খাবারের মতোই।


মধুর ক্যান্টিনে কেবল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ছাত্রলীগের দখলদারিত্বে আছে। এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রনেতারা।


বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ বিবার্তাকে জানান, একসময়ে মধুর ক্যান্টিন ছিল আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও বহুত্ববাদের আবর্তনবিন্দু। কিন্তু এখন তা বেশিরভাগ সময় ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দখলে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় বামপন্থীরাসহ বিরোধী মতের লোকজন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন বা জমায়েত করতে চাইলে আগে থেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিন দখলে নিয়ে নেয় ক্ষমতা ও সংখ্যার জোরে। এগুলোর কিছুই পরিবর্তিত হয়নি। ফলে যতটুকু সংস্কার হওয়া উচিৎ ছিল তার দশভাগও হয়নি।



বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরী বিবার্তাকে জানান, এই উন্নতিটা আসলে আমাদের দেশের উন্নয়নের মতোই। ভেতরের অন্তঃসারশুন্যতা ঢাকতে বাইরে জৌলুশের ব্যবস্থা করা। মধুতে বহু ছাত্র সংগঠন ঢুকতে পারে না, সহাবস্থান নাই, চাকচিক্য দিয়ে কী করব? মানে মধু একটা স্বাভাবিক ইনফর্মালিটি ধরে রাখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। যেখানে সম্পর্ক টাকার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। আয়োজন হয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষা, জমির মাটি থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট, সবই এখন ব্যবসায়িক বানানো এই প্রশাসনের পায়তারা। এতে না ভাবনার উন্নয়ন হয়, না সক্ষমতার।


কিন্তু এই অভিযোগ নাকচ করে মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কখনোই দখলদারিত্বের রাজনীতি করে না। মধুর ক্যান্টিন থেকে কখনোই ভিন্ন দলের কাউকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগ গণতন্ত্রের রাজনীতি করে এবং সকলের অধিকার রক্ষায় সচেতন রয়েছে।


সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, ঐতিহ্যবাহী মধুর ক্যান্টিন তার ঐতিহ্যকে ধরে রাখবে। এবং বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির আতুড়ঘর হয়ে শাণিত করবে শিক্ষার্থীদের মেধা-মননকে।


বিবার্তা/ছাব্বির/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com