ঢাবি মেট্রো স্টেশন, স্বপ্নের বাহন ও শিক্ষার্থীদের ভাবনা
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪৪
ঢাবি মেট্রো স্টেশন, স্বপ্নের বাহন ও শিক্ষার্থীদের ভাবনা
মো. ছাব্বিরুল ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা শহরের যানজট পেরিয়ে মাত্র ১৫-২০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিরপুর কিংবা উত্তরায় যাওয়া ছিল কল্পনাতীত। কিন্তু মেট্রোরেলের সুবাদে এখন তা সম্ভব হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনটিতে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। ট্রেনটি আগারগাঁও থেকে ঢাবির টিএসসি স্টেশনে পৌঁছায়। স্বচক্ষে এই দৃশ্য দেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে নানান স্বপ্ন, সম্ভাবনা- সাথে বিতর্কও। চলতি বছরের নভেম্বরে চালু হবে স্টেশনটি। এর মধ্যদিয়ে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলেও কেউ কেউ বলছেন ভিন্ন কথা। পাশাপাশি উঠেছে হাফ পাসের দাবিও।


স্টেশনটি চালু হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা খুব কম সময়েই যাতায়াত করতে পারবে মিরপুর ও উত্তরার মতো দূরবর্তী এলাকায়। যেখানে বাসে ওইসব এলাকায় যেতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। সেখানে সময় কমে আসবে ১৫-৩০ মিনিটে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময়ের অপচয় রোধ হবে। ক্যাম্পাস থেকে দূরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে সময় যেমন কম লাগবে তেমনই হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের টিউশন বা অন্যান্য কাজের সুবাদে দূরবর্তী এলাকায় যাতায়াত নিরাপদ, আরামদায়ক ও সময় সাশ্রয়ী হবে। তাছাড়া হলে আবাসিক যেসকল শিক্ষার্থী চাকরি পরীক্ষা দিতে মিরপুর এবং দূরবর্তী এলাকায় যাতায়াত করেন তাদের জন্য এই স্টেশন আশীর্বাদের মত। এজন্য মেট্রোরেলকে অনেকে বলেছেন স্বপ্নের ট্রেন।


হলে অবস্থানকারী যেসব শিক্ষার্থী অনেক দূরবর্তী এলাকায় টিউশনি করতে যায়, তাদের একজন হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী সালমান হোসেন। তিনি বিবার্তাকে জানান, আমাকে টিউশনি করতে মিরপুর যেতে হয়। কিন্তু বাসে যাতায়াতের কারণে ১ ঘন্টার টিউশনি করে আসা যাওয়াতে সময় যায় ৩-৪ ঘন্টা। এই সময়ে আমি আরো দুইটা টিউশনি করতে পারতাম। তাই যাতাযাত বাবদ ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে হলেও আমার মনে হয় মেট্রোরেলে যাওয়াই বেটার। কারণ সময় অনেক মূল্যবান।



দূরবর্তী এলাকাগুলো থেকে প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস কিংবা অন্যান্য লোকাল বাসে ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ফাহাদ আহমেদ বিবার্তাকে জানান, আমার বাসা উত্তরায়। সাড়ে আটটার ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ধরতে হয় ৬টায়। অর্থাৎ আমার প্রতিদিন কতটা সময় অপচয় হয়ে যাচ্ছে আসা-যাওয়াতেই। এই সময়টা বাঁচাতে পারলে আমি পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজ করতে পারতাম। তাই আমার কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদের মতো।


তবে এসকল সুবিধার বাইরেও বেশ কিছু অসুবিধা দেখিয়ে পূর্বে মেট্রোরেল স্টেশন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্থাপন না করার জন্য উঠেছিল প্রতিবাদ।


২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যহানি, শব্দ দূষণ, প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট, ঢাবির ঐতিহ্য নষ্ট হওয়া ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়। এবং দাবি জানানো হয় যেন স্টেশনটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় না করা হয়। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ বিবার্তাকে বলেন, স্বল্প সময়ে যাতায়াতের যে সুযোগ শিক্ষার্থীরা পাবে তা কিন্তু শাহবাগে স্টেশন রেখে রুটটা ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে নিয়ে গেলেও হত। কিন্তু মেট্রোরেলের রুট ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে নেওয়ার ফলে শব্দদূষণ ও জনগণের অপ্রয়োজনীয় আনাগোনা বেড়ে গিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে। মেট্রোরেলের কারণে রুট সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়ার জায়গার সংকোচন ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্তমানে নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে রুট নেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা না করে নেওয়া হয়েছিল। এখন প্রশাসন যেটা করতে পারে তা হলো রুট সংলগ্ন এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধন এবং আড্ডা দেওয়ার জায়গাগুলো ফিরিয়ে আনতে পারে।


বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরী বিবার্তাকে জানান, মেট্রোরেলের রুট যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে না যায় তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আন্দোলন করেছে। ‘বিকল্প রুট চাই’- আন্দোলনের বিষয়ে আপনারা তো অবগতই। আমরা বামপন্থীরা এই আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলাম। ছাত্রলীগের বিস্ময়কর নির্লজ্জতার দরুণ যখন কিছুতেই রুট ঠেকানো গেল না, তখন আমরা বলেছিলাম যাতে টিএসসিতে স্টেশন না হয়। তাতে অন্তত টিএসসিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক চর্চাটাকে কিছুটা হলেও রক্ষা করা যাবে। তখন ছাত্রদলসহ অনেক বিরোধী ছাত্র সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়াল পরিসরে বলেছিলেন, রুট যদি ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়েই যায় তবে স্টেশন নাকি টিএসসিতে হওয়াই ভালো। তাতে নাকি ছাত্রদের সুবিধা হবে। শাহবাগ ও টিএসসি দুই জায়গাতেই স্টেশন বানানোটাকেও সরলভাবে দেখার কোনো সুযোগ নাই। আপনারা যদি মেট্রোরেলের সব ক'টা স্টেশন ঘেঁটে দেখেন তাহলে দেখবেন দুটো স্টেশনের মাঝে এত কম দূরত্ব আর কোনো জায়গায় নাই। ধরেন, টিএসসির পরের স্টেশন হলো সচিবালয়, তার পরেরটা মতিঝিল, তারপর কমলাপুর। শাহবাগ ও টিএসসি, দুটো স্টেশনের ভাড়ার তালিকা অবিকল এক। শাহবাগে একটা স্টেশন নির্মাণ করে, টিএসসিতে আরেকটা স্টেশন বানানোর কোনো টেকনিক্যাল যুক্তি নাই। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল, টিএসসিকেন্দ্রিক শিক্ষার্থীদের যে স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ সেটাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা। বলতে গ্লানি হয়, কিন্তু স্বৈরাচার সেই কাজে সফল হয়েছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে এই স্টেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী মারজুক মাহমুদ ইফশিত বিবার্তাকে জানান, লাইব্রেরিতে যারা পড়তে আসি তারা এখন উদ্বিগ্ন এই নিয়মিত ট্রেন চলার ফলে যে শব্দদূষণ হবে তা নিয়ে। আমি মনে করি শীঘ্রই এই ব্যবস্থা করা উচিত। তাছাড়া বহিরাগতের আগমন বৃদ্ধির ফলে টিএসসি এলাকায় যানজট বেড়ে যাবে। তাই আমি মনে করি এটার সুবিধার চেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অসুবিধাটাই বেশি।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন বিবার্তাকে জানান, উত্তরাধুনিকতার এই যুগে রক্ষণশীলতার দোহাই দিয়ে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যায় না। বাম রাজনীতি শুধু এই অঞ্চলে নয়, সারা পৃথিবীতেই আবেদন হারিয়েছে। বাংলাদেশেও জনগণের ভাষা বুঝতে না পারায় আজ বামরা জনবিচ্ছিন্ন- চিন্তায়, চেতনায় ও বোধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেট্রোরেল এবং টিএসসির স্টেশনকে স্বাগত জানিয়েছে।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বিবার্তাকে জানান, অনেক মানুষই উন্নয়নকে সহ্য করতে পারে না- তাই মেট্রোরেল নিয়ে তাদের এত সমস্যা। কিন্তু সেটা কেবলই তারা ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বলে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে তারা ভাবে না। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করি বিধায় আজকে মেট্রোরেল স্টেশনটি টিএসসিতে নির্মিত হয়েছে। টিএসসিতে মেট্রোরেল স্টেশনটি না হলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হেঁটে অথবা রিক্সায় আসতে হত। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই স্টেশনটি উপযুক্ত জায়গায় নির্মাণ করেছে।


উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থাপনা বা শিক্ষার পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছেন প্রকল্পটির পরিচালক ও বিশেষজ্ঞরা।


প্রকল্পটির পরিচালক মোফাজ্জেল হোসেন বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সবার সুবিধার জন্যই মেট্রোরেলের পথ ঠিক করা হয়েছে। মেট্রোরেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে না গেলে বরং আরও বেশি আন্দোলন হতো।


এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশের বিরোধিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে শাহবাগ থেকে রোকেয়া হল, শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বুয়েট হয়ে সায়েদাবাদে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণেই ওই প্রস্তাব বাতিল করা হয়। পরে ২০১১ সালের ৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে যে বৈঠক হয় সেখানেই নতুন রুট ঠিক করা হয়।


মেট্রোরেলে হাফ ভাড়া না থাকায় এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে না এবং ভাড়া বেশি হওয়ায় এটি কেবল উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তের মানুষের জন্য নির্মাণ হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী হাফ পাসের দাবি জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, মেট্রোরেল যে মূল্যবান সময় বাচাঁবে এবং ফ্যাসিলিটি দেবে সে তুলনায় ভাড়া খুব বেশি বলা চলে না।


উল্লেখ্য, শাহবাগ-নীলক্ষেত থেকে উত্তরা পর্যন্ত লোকাল বাসের ভাড়া ৬০ টাকা। সেক্ষেত্রে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘন্টা- পিক আওয়ারে বেশি বৈ কম লাগে না। মেট্রোরেলে টিএসসি স্টেশন থেকে উত্তরার ভাড়া ৯০ টাকা, সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট। এছাড়াও মেট্রোরেল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।


হাফ পাসের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরী বিবার্তাকে জানান, এখন একটা কাজই করণীয় আছে। তা হলো, অন্য গণপরিবহনের মতো মেট্রোরেলেও ছাত্রদের জন্য হাফ পাশ নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করা।


গত ৭ বছর ধরে আমরা শুনছি যে, মেট্রোরেল হলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতে সুবিধা হবে। অথচ উত্তর উত্তরা থেকে টিএসসি আসতে একজন শিক্ষার্থীর খরচ হবে ৯০ টাকা। যেকোনো গণপরিবহনের খরচের সাথে তুলনা করলেই বোঝা যায়, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের এতে এক পয়সার উপকারও হবে না।


শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ বিবার্তাকে জানান, আমাদের জন্য বেটার হতো যদি স্টেশনটা ক্যাম্পাস থেকে একটু দূরে হত। এভাবে একটা ক্যাম্পাসকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জায়গা বানানোয় এখানকার পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া মেট্রোরেলের যে ভাড়া এইটা স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি না। ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে উত্তরায় যাওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য পোষায় না। আমরা চাই এখানে হাফ পাস চালু হোক, যেন শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করতে পারে।


বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রায়হান বিবার্তাকে জানান, দেখুন অনেকেই হাফ ভাড়া না থাকায় বলছে যে মেট্রোরেল শিক্ষার্থীদের জন্য সুফল আনবে না। কিন্তু যেসব শিক্ষার্থী মনে করেন সময়ের মূল্য বেশি- তাদের ক্ষেত্রে এই ভাড়া আহামরি না। তাছাড়া লোকাল বাসের তুলনায় মেট্রোরেলে যেসব ফ্যাসিলিটি আছে, সে তুলনায় আপনি বলতে পারবেন না যে ভাড়া অনেক বেশি। হাফ পাস চালু হলে আমি অবশ্যই অনেক খুশি হব কিন্তু না হলেও বিষয়টা আমার কাছে অযৌক্তিক লাগবে না।


হাফ পাসের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বিবার্তাকে জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শিক্ষার্থীবান্ধব সরকার। মেট্রো স্টেশনটা তো মাত্র চালু হতে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হাফ পাসের কথাটা তুলব। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আমাদের সকল চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


বিবার্তা/ছাব্বির/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com