ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে কোন কোন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে বাংলাদেশের ওকালতি করার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
১৯ জুন, সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত অত্যন্ত পরিপক্ক গণতান্ত্রিক একটি দেশ। ভারতের নেতৃত্বও অত্যন্ত পরিপক্ক ও সমৃদ্ধ। বৈঠকে যা ভালো মনে করবেন, তা নিয়েই তারা (মোদি-বাইডেন) আলাপ করবেন। ওখানে আমার (বাংলাদেশের) ওকালতি করার প্রয়োজন নেই।
ওয়াশিংটনে আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠেয় মোদী-বাইডেন বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তুতে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গটি থাকছে কি না- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ওইসব দেশের বৈঠকে কে কী নিয়ে আলাপ করবে তা নিয়ে এত দুশ্চিন্তা কেন?
গত ১২ জুন ভারতের বারানসিতে জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মোমেন। সে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে অনেক আলাপ হয়েছে। আমরা সেইম লেভেলে কাজ করছি। আমি খুব খুশি। আমি খুব সন্তুষ্ট। ভারত সরকার আমাদের অত্যন্ত সম্মান দিয়েছে। জি-২০ সদস্য না হওয়ার পরও গেস্ট হিসেবে নিয়ে তাদের পাশে আমাদের বসিয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের কাছে যে চিঠি লিখেছেন তাতে মিথ্যা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে মিথ্যা তথ্য আছে, ভুল আছে। তারা বলেছেন যে, শেখ হাসিনার আমলে ৬০ শতাংশ হিন্দু দেশছাড়া হয়েছেন। এই তথ্য ভুল। আপনাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন চাইলেই হবে না, সব দলকেও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে হবে। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে সহায়তা করুক।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ’ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি সরগরম। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনে বাইডেনের সঙ্গে মোদীর খোলামেলা আলোচনার ইঙ্গিত রয়েছে।
চীনের সম্মেলনে নয় বরং প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চীনের একটি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু সে সময় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে যাবেন বলে চীনে যেতে পারবেন না। আমরা চীনকে এ বিষয়ে সবিনয়ে জানিয়েছি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]