শিরোনাম
'যেকোনো সময় মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু'
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০০:৪৫
'যেকোনো সময় মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, চাহিদাপত্র চলে এসেছে। যেকোনো সময়ই কর্মী যাওয়া শুরু হবে। আর চলতি বছরেই পাঁচ থেকে সাত লাখ কর্মী যাবে বলে তিনি ধারণা করছেন।


মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে 'আনটোল্ড স্টোরি অফ মাইগ্রেটস: ড্রিমস অ্যান্ড রেয়েলিটিস শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
অভিবাসনবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ১৫ লাখ বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৫ থেকে ৭ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া পাঠানো হবে।


তিনি বলেন, সরকারিভাবে বিদেশে দক্ষ জনবল প্রেরণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে স্বল্প খরচে তারা বিদেশ যেতে পারছেন। বৈধ উপায়ে অনেক টাকা আয় করতে পারছেন। এ বছর প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ লোক মালয়েশিয়া যেতে পারবে। তবে যে ব্যক্তি যে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাবেন তাকে সে কাজই করতে হবে। ভিন্ন কাজে শিফট করার কোনো সুযোগ নেই।


শারিয়ার আলম বলেন, আমাদের দেশের মানুষদের মধ্যে একটি ব্যাপার লক্ষ্য করা যায় যেকোনো ভাবে বিদেশ গিয়ে চাকরি করতে হবে। তাদের এ আসক্তির কারণে ৭-৮ লাখ টাকা ব্যয় করে গিয়ে ১০-১২ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নষ্ট হচ্ছে এবং যারা যাচ্ছেন তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের সঠিক নিয়ম মেনে বিদেশে যেতে হবে এবং এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।


দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তা সম্পূর্ণ সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জানি মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে নারী শ্রমিকরা হরানির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু এর মানে এই না যে সবাই খারাপ আছেন। আমরা অনেক নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তারা অনেক ভালো আছেন। সামান্য কিছু অভিযোগের কারণে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিকদের যাওয়ার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারি না। তারা যেন সমস্যায় না পরে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।


তিনি বলেন, কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়‍া বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছি ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রমিক নেওয়ার জন্য। তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছে আমদের দেশের শ্রমিক তারা নিতে। এই প্রক্রিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শ্রমিক এ ব্যাপারে সব তথ্য আমাদের ওয়েব সাইট থেকে জানতে পারবেন। নির্দিষ্ট কাজের জন্য অভিজ্ঞাত সম্পূর্ণ শ্রমিকরা যেতে পারবেন।


প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ বলেন, অভিবাসীদের সফলতা-ব্যর্থতা বুঝতে এই বইটি একটি দলিল হয়ে থাকবে। এটা একটা আইনি দলিলও।


বইয়ের সম্পাদক রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, দুই দশক ধরে আমরা অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করছি। নানা গবেষণায় তাদের বিষয়গুলো পরিসংখ্যানে পরিণত হয়েছে। আমরা চেয়েছি, তাদের কথাগুলো তাদের কণ্ঠে আসুক। সে কারণেই এই বই। এতে তাঁদের আত্মবিশ্বাসের কথা যেমন আছে, তেমনি আছে হতাশার কথাও।


অনুষ্ঠানে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সেলিম রেজা, ডিএফআইডির কর্মকর্তা জোয়েল হারডিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফখরুল আলম, সুমাইয়া খায়ের, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ওমেনস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক পারুইন হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।


বিবার্তা/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com