শিরোনাম
সিআইএয়ের প্রকাশিত নথিতে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:৫৮
সিআইএয়ের প্রকাশিত নথিতে বাংলাদেশ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পৃষ্ঠার অগোপনীয় নথি অনলাইনে প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশেরও বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে এই নথিগুলো কেবল মেরিল্যান্ডের কলেজ পার্কে ন্যাশনাল আর্কাইভের চারটি কম্পিউটারে সংরক্ষিত ছিল।


বিবিসি বাংলার অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ যেসব অত্যন্ত গোপন নথি প্রকাশ করেছে, সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, শীর্ষ দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদের শাসনামলসহ অন্যান্য প্রসঙ্গ রয়েছে।


টপ সিক্রেট মার্ক করা কয়েক হাজার পৃষ্ঠার অত্যন্ত গোপনীয় এসব নথির একটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈরিতা বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে।


হাসিনা-খালেদা প্রসঙ্গ:
কনফিডেনসিয়াল লেখা ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি নথিতে বলা হয়, ইউএস সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ কমিটির একজন কর্মকর্তা পিটার ডব্লিউ গ্যালব্রেইথ ওই বছরের ২৯শে জানুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে ব্যাক-টু-ব্যাক কল দিয়েছিলেন।


দুই নেত্রীই দাবি করেন, সবকিছুর আগে তখনকার প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের ক্ষমতা ছাড়তে হবে। দু'জনই ৩রা মার্চ তারিখে নির্ধারিত সংসদ নির্বাচনের বিরোধিতা করেন। দু'জনেরই একে অন্যের প্রতি ব্যক্তিগত অপছন্দের বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
তাদের 'ঐকমত্য' ছিল কেবল 'একটি পয়েন্টে'। তা হল এরশাদের অপসারণ। এর বাইরে ঐক্যের কোনো অবস্থান নেই বলেও নথিতে বলা হয়।


সামরিক শাসক এরশাদের ভারত সফর প্রসঙ্গ:
৭ই অক্টোবর ১৯৮৩ সাল উল্লেখিত নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশের চীফ মার্শাল ল অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ ওয়াশিংটনে এসেছেন যেসব লক্ষ্য নিয়ে তার মধ্যে রয়েছে, বৃহৎ এই দাতা দেশটির (আমেরিকা) সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়া। দক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এবং ভারতের সাথে জটিল সম্পর্কের বিষয়ে সম্ভাব্য সহায়তাও ছিল এই সফরের লক্ষ্য। এর পাশাপাশি আমেরিকায় তার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি তুলে ধরে দেশের ভেতরে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করাও ছিল আরেকটি লক্ষ্য। এই নথিতে এরশাদের অতীত এবং বর্তমান সম্পর্কিত বিষয়াদিও উঠে আসে। এরশাদ তার সরকারকে সোভিয়েত বিরোধী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বলেও যে আমেরিকা বিশ্বাস করে, তাও এই নথিতে উল্লেখ করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব:
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের কী গুরুত্ব সেটাও উঠে এসেছে এই নথিতে। 'বাংলাদেশে কোনো ধরনের অস্থিরতা ভারতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীরা সেখানে আশ্রয় প্রত্যাশী হতে পারে' এই বিষয়টি আমেরিকার বেশ মাথাব্যথার কারণ তা সিআইএ'র গোয়েন্দা রিপোর্টে পরিষ্কার। এছাড়া বাংলাদেশে অস্থিরতার ঘটনা ঘটলে এই উপমহাদেশে তৎকালীন সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ অনধিকার চর্চার সুযোগ পাবে - যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের নথিতে সেই আশঙ্কা প্রকাশ পায়।


এক বিবৃতিতে সিআইএর তথ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোসেফ ল্যামবার্ট বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন আর একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই।


বিবার্তা/আকবর/হোসেন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com