শিরোনাম
আধুনিকীকরণ হচ্ছে খানজাহান আলী বিমানবন্দর
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৩০
আধুনিকীকরণ হচ্ছে খানজাহান আলী বিমানবন্দর
মৌসুমী ইসলাম
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিয়েছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প তালিকায় যাচ্ছে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপে (পিপিপি) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে দরকার হবে ৫৩৬ একর জমি, যার মূল্য ৩১৮ কোটি টাকা। জমির মূল্য পরিশোধে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য ২৩৫ কোটি টাকা ছাড়ের জন্য উপস্থাপন করা হবে।


বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়, এ প্রকল্পের জন্য ৫৩৬ একর জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জমির মূল্য ৩১৮ কোটি টাকার মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অগ্রিম ৪৩ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরও ২৩৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই অর্থবছরে এডিপির আওতায় বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর জন্য ২৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এই প্রকল্পে মাত্র ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।


দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মোংলা বন্দরে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত গড়ে তোলার জন্য বিমানবন্দর দরকার। কারণ, বিমানবন্দর ছাড়া শিল্প এলাকা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই মোংলা বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক/আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে প্রকল্প নেয়া হয়েছে।


ইন্টেলিজেন্স ডিজাইন অ্যান্ড ডাইনামিক্স লিমিটেড পিপিপি’র ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশি ও বিদেশি যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। অরিসিস কোম্পানি অর্থ সংস্থান এবং লারসন অ্যান্ড টারবো লিমিটেড কারিগরি সহায়তা দিতে চেয়েছে। অরিসিস ইতোমধ্যে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। ৩০ বছর তারা বন্দর পরিচালনা করবে। সরকার তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করলে তারা নিজ ব্যয়ে প্রকল্পটির কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা করবে এবং পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দেবে।


সার-সংক্ষেপে আরো বলা হয়, পিপিপির অধীনের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নির্ধারিত সময়ে অর্থ সরবরাহের মাধ্যমে প্রকল্প সম্পন্ন ও চালু করা যাবে। প্রকল্প হতে সাশ্রয়কৃত অর্থ সরকার অন্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট ফি বা চার্জ পাবে। সার্বিক বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com