সাক্ষাতকার
পরিবেশকে হুমকিতে রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব না : ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ১২:৪৩
পরিবেশকে হুমকিতে রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব না : ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম
সামিনা বিপাশা
প্রিন্ট অ-অ+

ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম। দায়িত্ব পালন করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত গবেষণা ও লেখালেখি করেন।


মাজেদুল ইসলামের জন্ম ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে খুলনার ডুমুরিয়ায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ইকোনমিক ক্যাডারে যোগ দেন। ড. মাজেদ মিন্টু ২০০৯ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Environmental Studies'এ দ্বিতীয় বার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডস-এর Wageningen বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Evironmental Science'এ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি সুইডেনের Chalmers University of Technology থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।


তার প্রথম উপন্যাস 'জাপান প্রবাসীর জীবন' ২০১১ সালে, দ্বিতীয় উপন্যাস 'নিহি এবং ইউরোপের শীত বসন্ত' ২০১৮ সালে এবং তৃতীয় গ্রন্থ 'মানুষ ও প্রকৃতি' ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়। 'পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন' তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ। এছাড়া, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে ড. মাজেদ মিন্টুর বেশ কিছু গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।


বিবার্তা প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় বলেছেন নিজের জীবনসহ পরিবেশ, প্রকৃতি ও আরো নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ বিবার্তার পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-


বিবার্তা : আপনার বেড়ে ওঠা ও শৈশব জীবনের গল্প শুনতে চাই।


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : আমি বেড়ে উঠেছি খুলনার ডুমুরিয়ায়। আমার বাবা হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি। খুব সচ্ছলতা ছিল না পরিবারে, তবে আমাদের শৈশব খুব দারুণ ছিল। স্কুল থেকে ফিরেই সাঁতার, পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি, ডাঙ্গুলি খেলা। এর মধ্যে অন্যরকম আনন্দ ছিল। এখনকার বাচ্চাদের মতো গ্যাজেট নির্ভর জীবন ছিল না আমাদের।


বিবার্তা : তাহলে তো খুব অসাধারণ একটা শৈশব ছিল।


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : হ্যাঁ, অবশ্যই সেটা বলা যায়। এখনো শৈশবটা খুব মিস করি।


বিবার্তা : খুলনায় যাওয়া হয়?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : যাই, তবে খুব কম। বছরে অন্তত একবার যাওয়া হয়।


বিবার্তা : স্কুলজীবনের কথা বলুন।


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : বাবা যে স্কুলের শিক্ষক ছিলেন আমি সেই স্কুলের ছাত্র ছিলাম। বাবা ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন, আমি ইংরেজিতে বেশ ভালো ছিলাম। বাবা মারা যান ২০১৩ সালে। বাবার হাতে মার খাইনি কখনো, তবে বকা খেয়েছি। আমার শৈশব-কৈশোর ডুমুরিয়াতেই কেটেছে। স্কুল কলেজ ওখানেই।


বিবার্তা : বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন সম্পর্কে বলুন।


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিশারিজ এন্ড মেরিন টেকনোলজিস এন্ড রিসোর্স থেকে অনার্স করেছি। ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করি। চাকরির এক বছরের মধ্য আমি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস করতে যাই। মাস্টার্স শেষ করে এসে আবার চাকরিতে যোগদান করি মিনিস্ট্রি অব প্ল্যানিং-এ। সেখানে তিন বছর চাকরি করে মিনিস্ট্রি অফ এগ্রিকালচার অর্থাৎ কৃষি মন্ত্রণালয়ে যোগদান করি। এক বছর চাকরি করার পর ২০১৩ সালে আমি নেদারল্যান্ডস-এর ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাই। পিএইচডি শেষ করে ২০১৭ সালে দেশে ফিরি।


বিবার্তা : চাকরির পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা, পড়াশোনার সাথে দীর্ঘ সময়ের সংশ্লিষ্টতা, তাহলে লেখালেখির শুরুটা কীভাবে?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : ফেলোশিপ স্কলারশিপ নিয়ে যখন জাপানে যাই তখনকার কথা বলছি। ওখানে স্কলারশিপ নিয়ে যায় অনেকেই, আবার অনেকে আছে শ্রমিক। একদিন আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটছি দুজন আমাকে ডাক দিলেন, আমি ভেবেছি ইন্ডিয়ান কিন্তু তারা আমাকে অবাক করে দিয়ে বাংলায় বলে, ভাই কেমন আছেন? ওদের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়, আমরা পাশাপাশি থাকি। এদের মধ্যে একজন ছিল আমার এসএসসির ব্যাচমেট। ওদের মাধ্যমে আরো কয়েকজন শ্রমিকের সাথে আলাপ হয়। ওখানে জীবনযাপন খুব ইন্টারেস্টিং এবং চ্যালেঞ্জিং। তাদের জীবনযাপন ও জাপানের অনুশাসন আমাকে খুব টানত। যেহেতু স্কলারশিপ নিয়ে গিয়েছি আমার হাতে বেশ সময় থাকত পড়ালেখার পরও। তখন লিখতে শুরু করি। সেসময় বাংলাদেশ থেকে জাপানে পিএইচডি করতে গিয়েছে এমন একজনের সাথে আলাপ হয়। তিনি আমাকে বলেন, আপনার লেখা তো ভালো। আপনি বাংলাদেশে ফিরে বই প্রকাশ করুন। এরপর দেশে ফেরার পর ২০১১ সালে আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় জাপান প্রবাসীর জীবন।


বিবার্তা : জাপান প্রবাসীর জীবন গ্রন্থটিতে জাপানের প্রবাসীদের জীবন উঠে এসেছে?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : 'জাপান প্রবাসীর জীবন' গ্রন্থটিকে ভ্রমণকাহিনি বললে ভুল হবে। এটা মূলত উপন্যাস। এখানে প্রবাসীদের জীবন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।


বিবার্তা : ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় আপনার দ্বিতীয় উপন্যাস নিহি এবং ইউরোপের শীত বসন্ত। এই বইটি কি নেদারল্যান্ডস-এ বসে লেখা?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : হ্যাঁ। একদমই তাই। 'জাপান প্রবাসীর জীবন' বইটিতে যেমন জাপানের প্রবাসীদের জীবন উপজীব্য, এখানে তেমনি নেদারল্যান্ডস-এর প্রবাসীদের নিয়ে লেখা। নেদারল্যান্ডস-এ যাওয়ার পর মনে হলো, নতুন দেশ এখানকার কথা নিয়ে কিছু লেখা যায় কি না। তবে ওখানে যাওয়ার পর পড়ালেখা নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ওখানে যেহেতু চার বছর, তাই সময়টা বেশি পেয়েছিলাম। 'জাপান প্রবাসীর জীবন' বইটিতে শ্রমিকদের কথা ফোকাস করা হয়েছে আর নিহি এবং ইউরোপের শীত বসন্ত বইটিতে শিক্ষার্থীদের জীবন তুলে ধরা হয়েছে।


বিবার্তা : তাহলে কি বলা যায় 'নিহি এবং ইউরোপের শীত বসন্ত' বইটির কাহিনিতে প্রচ্ছন্নভাবে আপনাকে পাওয়া যাবে?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : নট রিয়েলি। ঠিক আমার জীবনের কথা এই বইতে পাওয়া যাবে এমন নয়, তবে আমাদের মতো যারা শিক্ষার্থীরা ওখানে পড়তে যায়, মূলত তাদের কথাই এখানে উঠে এসেছে। প্রবাসে আমাদের শিক্ষাজীবন, আমরা নেদারল্যান্ডস-এর আশেপাশে কয়েকটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানকার কথা। আমার জীবনের কিছু কথা এখানে হয়ত পাওয়া যাবে, তবে আমাকে এখানে পাওয়া যাবে এমনটা নয়।


বিবার্তা : এই মুহূর্তে যদি পেছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ আসে, কোন জীবনে ফিরে যেতে চাইবেন, প্রবাস জীবন না খুলনার জীবন না ঢাকার বর্তমান জীবনেই থাকতে চাইবেন?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : যখন জাপানে যাই আমার ধারণা ছিল, শিল্পোন্নত একটা দেশ, নিশ্চয়ই অনেক পলিউশন, কলকারখানা এসব হবে। কিন্তু আসলে জাপান খুব নির্ঝঞ্ঝাট, পরিচ্ছন্ন, সুন্দর একটা দেশ। জাপানে থাকাকালীন মনে হত এই দেশটা এত সুন্দর এই দেশেই থাকতে চাই। এরপর নেদারল্যান্ডসে গিয়ে মনে হল এই দেশটা আরো সুন্দর, তখন জাপান ভুলে নেদারল্যান্ডস মনে গেঁথে গেল। তবে, ২০০৬ সালে ঢাকা আসি, কিন্তু এখন ঢাকা, জাপান, নেদারল্যান্ডস কোনোটাই টানে না।


এখন যখন ছুটিতে খুলনা শহরে যাই, কেমন মনে হয় আপন, নিজের। এখন মনে হয় আমি সেই খুলনার জীবনে ফিরে যেতে চাইবো যদি সুযোগ আসে।


বিবার্তা : ২০২১ সালে প্রকাশিত আপনার প্রবন্ধের বই 'মানুষ ও প্রকৃতি' সম্পর্কে জানতে চাই।


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : নামের সাথে বইটির মিল আছে। বইটির অর্ধেক প্রবন্ধ মানুষ সম্পর্কিত, অর্ধেক প্রবন্ধ প্রকৃতি সম্পর্কিত। এখানে একটা চ্যাপ্টার আছে মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক। এছাড়াও আছে আমাদের যে আদর্শগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সেসবের কথা, হারানো শৈশব, আমাদের দারিদ্র্য, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এসব মিলিয়েই বইটির অর্ধেক অংশ। অন্য অংশে আছে পরিবেশ সংক্রান্ত প্রবন্ধ।


বিবার্তা : পরিবেশ দূষণ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এই মুহূর্তে আমাদের কী করণীয়?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : পরিবেশ দূষণের কথা বলা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে কিন্তু সচেতনতা বাড়ছে না। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, পরিবেশ দূষণ করার পাশাপাশি নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা ওই অর্থে আনা যাচ্ছে না। আমার পরিবেশ নিয়ে লেখালেখির অন্যতম কারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এখন খুব প্রয়োজন আমাদের যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেই দিকে সচেতনভাবে কাজ করা।


লোকে মনে করে সবার ক্ষতি আমার কিছু হচ্ছে না, আল্টিমেটলি যে নিজেরও ক্ষতি তা ভাবে না। মানুষের উপলব্ধি আসছে না, মন থেকে সচেতন হচ্ছে না। এটাই মূল সমস্যা।


বিবার্তা : আমাদের যে সামুদ্রিক সম্পদ বা মৎস্য সম্পদ আছে সেটাকে আমরা কতটা কাজে লাগাতে পারছি?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : আমাদের বিপুল পরিমাণে সামুদ্রিক সম্পদ আছে। আমরা ইলিশ মাছ কনজারভেশন সংরক্ষণ করার ফলে আমাদের ইলিশ মাছ উৎপাদন বেড়ে গেছে। জিপিডির ১%-এর বেশি আসে ইলিশ থেকে, আমরা বিদেশ রফতানি করছি। একইভাবে ভেটকি মাছ, পার্শে মাছকে যদি আমরা ডমেস্টিকেশন করতে পারি, অর্থাৎ ইলিশ মাছের ক্ষেত্রে যেমন নিয়ম আছে এই সময়ে ধরা নিষিদ্ধ, এই সময়ে ধরা যাবে তেমনি ভেটকি আর পার্শে মাছের ক্ষেত্রে যদি একইরকম করা যায়। এছাড়াও এরকম আরো কিছু মাছ আইডেন্টিফাই করে যদি উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা যায় তাহলে মৎস্য উতপাদন বেড়ে যাবে। শুধু মৎস্য সম্পদ দিয়েই আমাদের এক্সল অর্থনীতি খাত অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।


বিবার্তা : পরিবেশ দূষণ যেভাবে চলছে সেভাবেই যদি চলতে থাকে ২০৫০ সাল নাগাদ কী অবস্থা দাঁড়াবে?


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : যে অবস্থা চলছে, এই অবস্থাই যদি চলতে থাকে এবং আমরা যাদি গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে চলতে থাকি- খুবই খারাপ দিন আসছে। হয়ত আমরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে যেতে পারবো কিন্তু পরিবেশ সচেতন না হই তাহলে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে পড়তে হবে। মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশকে হুমকিতে রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব না।


জাপান ষাটের দশকে ব্যাপক উন্নয়ন হলো কিন্তু পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ল, মিনামাতা আলমাতা ডিজিজ ছড়িয়ে পড়ল, তারা কিন্তু তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে ডিজিজ কন্ট্রোল করল, তারা উন্নত ব্যবস্থা নিল পরিবেশ সংরক্ষণে।


ফলে, তারা শিল্পোন্নত হয়েছে কিন্তু পরিবেশের উপর প্রভাব কম পড়েছে। আমাদেরও এই একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বায়ুদূষণে ঢাকা নিয়মিত এক থেকে দশের মধ্যে থাকে। আমাদের পয়োবর্জ্য, শিল্পবর্জ্য এগুলো নির্বিচারে পানিতে ফেলছি, প্লাস্টিক দিয়ে মাটি, নদীর পানি এমনকি সমুদ্র পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আল্টিমেটলি পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে, আর তাতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এখানে আমাদের আশু ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।


বিবার্তা : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


ড. এম এম মাজেদুল ইসলাম : আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/এসবি/রোমেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com