![](http://www.bbarta24.net/templates/bbarta/images/main-logo.png)
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে পশ্চিমা সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনার উল্লেখ করলেও জার্মানি আর অ্যামেরিকাসহ একাধিক দেশ তার বিরোধিতা করেছে। এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন আরো জমি হারাচ্ছে।
গত সোমবার ইউক্রেন সংক্রান্ত সম্মেলন আয়োজনের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছিলেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশের সেনা পাঠানো যেতে পারে। তিনি রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য কোনো ধরনের সহায়তার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে চাননি। যদিও তার এমন ‘বেলাগাম’ মন্তব্যের পর ন্যাটোর একাধিক দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে৷
মঙ্গলবার প্রথমে জার্মানি ও পোল্যান্ড স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছে না।
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বলেন, প্যারিস সম্মেলনের অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ইউরোপ বা ন্যাটোর স্থলবাহিনী বা সৈন্য না পাঠানোর বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে। মধ্য ইউরোপের একাধিক দেশও সেই অবস্থান নিচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এপি-কে ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, সামরিক জোটের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত এড়াতে এখনো পর্যন্ত এমন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। একমাত্র ৩১টি সদস্য দেশ সম্মিলিতভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিলে তবেই ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানো সম্ভব। ন্যাটো সদস্যরা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনকে অভূতপূর্ব সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংগ্রামের জন্য ইউক্রেনে মার্কিন সৈন্য না পাঠানোর বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে আসছেন।
এদিকে রাশিয়া মাক্রোঁর মন্তব্য সম্পর্কে পশ্চিমা জগতকে সতর্ক করে দিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেকসভ বলেন, ন্যাটো ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য সৈন্য পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত অপরিহার্য। তার মতে, এমনটা ঘটলে ন্যাটো ও রাশিয়ার সংঘাতের ‘সম্ভাবনা’ দেখা দেবে না, সেই সংঘাত অবশ্যম্ভাবী হবে৷
ঘরে-বাইরে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়ার মাঝে ফ্রান্স মাক্রোঁর মন্তব্যের ‘সঠিক প্রেক্ষাপট’ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ঁ লোকোমু বলেন, প্যারিস সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো ঐকমত্য অর্জিত হয়নি। তাছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর কথা হয়নি।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান সেজুর্ন বলেছেন, মাইন অপসারণ, অস্ত্র উৎপাদন বা সাইবার অপারেশনের মতো কাজের জন্য পশ্চিমা সৈন্য পাঠানো যেতে পারে।
চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার প্রবল হামলার মুখে আভদিভকা শহর থেকে ইউক্রেনের সৈন্যরা সরে আসার পর আরও দুটি গ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। পশ্চিমা সহায়তায় টান পড়ার কারণে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ কমে আসছে। ফলে বাধ্য হয়ে বাস্তবসম্মত প্রতিরক্ষার পথ বেছে নিচ্ছেন সেনা কর্মকর্তারা। মার্কিন সংসদে ইউক্রেনের জন্য ৬ হাজার কোটি ডলার অংকের সামরিক সহায়তার প্রস্তাবের জট ছাড়াতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবার দুই দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]