রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের ২১ হাজার সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়াও তার মতে আহত হয়েছে ৮০ হাজার। নিহতদের বেশিরভাগই দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানান তিনি। খবর সিএনএনের।

শনিবার (১জুলাই) কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিনি।
জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সেনারা শুধু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলেই ২১ হাজার ওয়াগনার সদস্যকে হত্যা করেছে। আর ৮০ হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা আহত হয়েছেন।’

জেলেনস্কি বলেন, ‘ওয়াগনার গ্রুপের জন্য এ ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। বিশেষ করে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের বেশিরভাগ সেনা প্রাণ হারায়। সেখানে এ বেসরকারি বাহিনীটির ‘সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রুপটি’ লড়াই করেছিল।’
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের কিয়েভ সফরকালে ঘটনাক্রমে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও জেলেনস্কি এ দাবি করেন। তবে এখনো ওয়াগনার গ্রুপ বা রুশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ১২ দিন পর রবিবার (২জুলাই) ফের কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে এসব হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। জাপোরিঝিয়ার কাছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এদিন, পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন বাহিনীও। রুশ বাহিনীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান। বাখমুত, মারিনকাসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিবার্তা/মাসুম