নেপালের পোখারায় ৭২ জনকে বহনকারী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি হিমালয়ের ছোট্ট দেশটিতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।
বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। এরমধ্যে ১৫ জন বিদেশি নাগরিক ও ছয় শিশু রয়েছেন।
ইয়েতি এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে জানায়, বিমানটিতে ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, ৪ জন রুশ, ২ কোরিয়ান, ১ আর্জেন্টিনীয় এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন।
নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (সিএএএন) তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এটি পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে এটি সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়।
উড্ডয়নের প্রায় ২০ মিনিট পরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও দুই শহরের মধ্যে ফ্লাইটের সময়কাল ২৫ মিনিট।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল দুর্ঘটনার পরপরই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন এবং নেপাল সরকার ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর ২০১৩ সাল থেকে নেপালকে ফ্লাইট নিরাপত্তা কালো তালিকায় রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। হিমালয়ের দেশটি থেকে নিজেদের আকাশসীমায় সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে ইইউ। সূত্র: এনডিটিভি
বিবার্তা/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]