শিরোনাম
কিডনি ফাউন্ডেশনের আরেক সাফল্য
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০১৮, ২০:২৯
কিডনি ফাউন্ডেশনের আরেক সাফল্য
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ব্ল্যাড গ্রুপ ভিন্ন হওয়া সত্বেও কিডনি ফাউন্ডেশনে এক রোগীর দেহে সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হলো। এবিও ইনকমপ্যাটিবল পদ্ধতির মাধ্যমে এ ধরনের কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে এটাই প্রথম।


এর মাধ্যমে কিডনি সংযোজনে ঘটলো যুগান্তকারী ঘটনা। এটা নিয়মিত সম্ভব হলে রোগীর সঙ্গে ডোনারের রক্তের গ্রুপের মিল থাকার দরকার হবে না। ফলে বেড়ে যাবে কিডনিদাতার সংখ্য, সমাধা হবে ডোনার সংকটের, কমে যাবে কিডনি বেচা-কেনার মতো অবৈধ কাজ।


কুড়িগ্রামের ইমরান ফিরোজের (২৩) দুটো কিডনি বিকল হয়। তাঁর রক্তের গ্রুপ ছিলো ‘ও’। ছেলেকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দিতে চাইলেও ইমরানের মায়ের রক্তের গ্রুপ আলাদা থাকায় জটিলতা ছিলো। কেননা কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনিদাতার সঙ্গে রোগীর রক্তের গ্রুপ ও টিস্যু টাইপিংয়ের যথেষ্ট মিল থাকতে হয়।


কিন্তু গত ৫ জুলাই এবিও ইনকমপ্যাটিবল কিডনি প্রতিস্থাপন (এবিওআই) পদ্ধতির সফল প্রয়োগে তার দেহে তার মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়।


কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ নেফ্রোলজি টিম, ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. খুরশিদুল আলম ও অধ্যাপক ডা. সাজিদ হাসানের নেতৃত্বে ট্রান্সপ্ল্যান্ট টিম, ব্ল্যাড ব্যাংক স্পেশালিস্ট, অ্যানেসথেসিস্ট ও নার্সের সমন্বয়ে বিশেষ টিম এই ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করেন।


ইতিমধ্যে ইমরান ও তার মা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় গেছেন এবং ভালো আছেন।


অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে এই প্রক্রিয়ায় কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে সাফল্যের হার প্রায় ৯৫ ভাগ। স্বাভাবিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট রোগীদের মতো তাদের ক্ষেত্রেও ইনফেকশন ও কিডনি রিজেকশন ছাড়া অন্য তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তবে ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর বিশেষ ফলোআপে থাকতে হয় কিছুদিন।’


বিবার্তা/হুমায়ুন/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com