লতাকস্তুরী একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ, যা ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু হয়ে থাকে। গাছগুলো অনেকটা ঢেঁড়স গাছের মতো লোমযুক্ত। লতাকস্তুরীর অনেক গুণ রয়েছে।
চলুন লতাকস্তুরীর ওষুধী গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
১) বীজের গুড়া ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে সর্পদংশনের চিকিৎসা করা হয়।
২) লতাকস্তুরী বীজ পাকস্থলীর রোগে, লিওকোর্ডোমা ও অন্যান্য চর্মরোগে, কুষ্ঠরোগে, বিছা ও সাপের কাড়ডে ফলপ্রদ।
৩) বীজ তিক্ত মধুর রসযুক্ত, শুক্রবর্ধক,শীতবীর্য,শ্লেষ্মা ও পিপাসানাশক।
৪) শরীরিক দুর্বলতায় ও হৃদরোগে লতাকস্তুরীর চুর্ণ দুই রতি মাত্রা মধু অথবা মিছরির জলসহ পান করতে হয়।
৫) পেট ফাপায় মাত্রা মধু মিছরির জলসহ রোগীকে খাওয়াতে হবে।
এছাড়াও বর্তমানে এ ভেষজ উদ্ভিদের বীজ দিয়ে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি হচ্ছে।
লতাকস্তুরী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। ইহা এক মিটার পর্যন্ত উচু হয়। পাতা রোয়াযুক্ত,ডগা ও কিনারা কাকরা কাটা। পাতার দুই পিঠই রোমশ। ফলের রঙ হলুদ, মাঝে বেগুনী। ফল লম্বায় ছয় সেন্টিমিটার, ডগা সূচালো ও রোমযুক্ত। ফলের মধ্যে কালো রঙের বীজ হয়। মূল্যবান উদ্ভিদটি নামমাত্র পরিচর্যায় আবাদ করা যায় যেকোনো পতিত জমিতে। পরিকল্পিত চাষে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা যায়।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]