অনেকেই বলেন বয়স ২৫ হওয়ার পর শারিরিক উচ্চতা বাড়ে না। তবে উচ্চতা বাড়ার সঠিক সময় বাড়ন্ত বয়স। আর এই বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের নিয়ে নানান চিন্তায় পরে থাকেন। শিশুদের উচ্চতা নিয়ে অভিভাবকরা রীতিমতো তারা যুদ্ধও করেন।
তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর শারীরিক ভাবে বেড়ে ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। তবে অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন বেশ কয়েকটি খাবার উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। বেস্ট ফুড ফ্যাক্ট নামক খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
শারীরিক গঠনের পুরোটাই নির্ভর করে বংশগতির ওপর। ‘একজন ব্যক্তির উচ্চতা তার জীনগত বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে এবং ধরা হয় ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই মানবদেহের বৃদ্ধি থেমে যায়’- চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই তথ্য প্রতিষ্ঠিত হলেও রয়েছে ভিন্ন মত।
অনেক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার যোগ করার মাধ্যমে উচ্চতাকয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এই খাদ্যাভ্যাস অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে এবং গুরুত্ব দিতে হবে নিয়তি শরীরচর্চায়।
উচ্চতা বাড়ায় এমন কিছু খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে বেস্ট ফুড ফ্যাক্ট । দেখে নেয়া যকে সেই খাবারগুলো কী কী-
ডিম
মজবুত শারীরিক গঠনে ডিমের বিকল্প নেই। উৎকৃষ্ট মানের আমিষে ভরপুর এই খাদ্য। যা হাড়কে করে মজবুত ও শরীর রাখে সুস্থ। তবে উচ্চতা বাড়াতে কুসুম বাদ দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে ছয়টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
বাদাম ও বীজ
চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ার বীজ, শীমের বীজ ইত্যাদিতে থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও অ্যামিনো অ্যাসিড, যা কোষের ক্ষয়পূরণ ও নতুন কোষকলা তৈরিতে সহায়ক।
কলা
উচ্চতা বাড়ানোর ফল- যা পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, স্বাস্থ্যকর প্রো-বায়োটিক ব্যাকটেরিয়াতে ভরপুর। হাড়ে সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব নিষ্ক্রিয় করতে এবং ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বাড়াতেও কলা বেশ উপকারী।
সবুজ শাক-সবজি
শরীর বৃদ্ধির হরমোনকে উজ্জীবিত করতে প্রয়োজনীয় খনিজ থেকে ভোজ্য আঁশ পর্যন্ত সবই মেলে সবুজ শাক-সবজি থেকে। তাই এগুলো শরীরের উচ্চতা বাড়াতে সক্ষম।
মাছ
স্যামন. টুনা, সার্ডিন ইত্যাদি আমিষ ও ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস, যা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য জরুরি। হাড়ের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়াতেও এসব উপাদান কার্যকর।
সয়াবিন
আমিষ, ভিটামিন, আঁশ এবং কার্বোহাইড্রেটের গুরুত্বপূর্ণএকটি উৎস সয়াবিন। এই উপাদানগুলো হাড় ও কোষকলার ঘনত্ব বাড়ায়, ফলে উচ্চতা বাড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সয়াবিন খাওয়া।
মুরগির মাংস
কোষকলা ও পেশি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস মুরগির মাংস। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব; এটা যারা বিশ্বাস করেন না, তারা বরং প্রতিদিন ৫০গ্রাম মুরগির মাংস খেয়ে দেখতে পারেন।
ওটমিল
এ ধরনের আমিষ-সমৃদ্ধ খাবার হাড় ও কোষের ক্ষয়পূরণ করে। নতুন কোষকলা তৈরিতেও কার্যকর ওটমিল। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, যারা উচ্চতা বাড়াতে চান তাদের উচিত প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ৫০ গ্রাম ওটমিল খাওয়া।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]