শিরোনাম
‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই আ.লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রচেষ্টা’
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৪১
‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই আ.লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রচেষ্টা’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ছাত্রলীগ হবে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের প্রধান হাতিয়ার। জননেত্রীর সাথে আলাপ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে তার নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেবে। আপনারা জননেত্রী ছাড়া অন্য কারো কোনো পরামর্শ নেবেন না। নেত্রীর বাইরে কারো চোখ রাঙানোকে গুরত্ব দেবেন না। নেত্রী ছাড়া ছাত্রলীগের কষ্ট অন্যরা বুঝবেন না। কারণ, তারা দেশ/দলের চেয়েও নিজের গ্রুপ কিভাবে ভারী হবে তা ভাবেন। কে শিবির আর ছাত্রদল তা বিচার করেন না।

 

ছাত্রলীগ নিয়ে কিছু ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে, আগামীতেও হবে। কারণ, ছাত্রলীগ থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়। যদি ছাত্রলীগ শেষ হয় তবে আওয়ামী নেতৃত্বে ভালো নেতা আসবে না। তবে দুঃখের বিষয় হলো এখন ষড়যন্ত্রকারীরা হাতিয়ার হিসেবে আমাদের দলের নেতাদের ব্যবহার করছে। আর নেতারা না বুঝে তাদের কথামতো বাঘ/সিংহ মারেন, পারলে দুই-চারটা হাতি একহাত দিয়ে তুলে আছাড় মারেন। ছাত্রলীগের সম্মেলনও দিয়ে দেন এবং নতুন নেতা বানান। আবার নেতা হওয়ার আশায় তাদের কাছে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরাও যাতায়াত করে।

 

আমার তাদের কাছে প্রশ্ন- ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সংগঠন নিয়ে বলতে পারেন? ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ মেনে নিলাম। তার জন্য আপনি বলার কে? বললে নেত্রী বলবে।কিন্তু অন্য সংগঠনের মেয়াদ চার বছর আগে শেষ হলেও কোনোদিন বলার সাহস পেয়েছেন? সেসব সংগঠন আপনাদের কাউন্ট-ই করে না। কারণ, তারা নেত্রী ছাড়া কারো কথায় কান দেয় না। ছোট বলে বিনা দোষে শাসন করতে পারেন- এটা ভালো নয়। ছোটরাও প্রতিবাদ করতে পারে।

 

ছাত্রলীগের কমিটি সম্পর্কে জননেত্রী ভালো জানেন। কবে সম্মেলন হয়েছে আবার কবে হবে তা নেত্রীর মাথায় আছে। যখন নেত্রী মনে করবেন তখন সম্মেলন হবে। কখন সম্মম্মেলন দরকার নেত্রী তা ভালো বোঝেন। জননেত্রীকে misguide (ভুল পথে চালিত করা) করা এত সোজা নয়। নেত্রী তার বাস্তব জীবন থেকে ছাত্রলীগের ভূমিকা জানেন। ইতিহাসের পাতায় ছাত্রলীগ আপন মহিমায় উজ্জ্বল। ’৪৮, ’৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯, ’৭০, ’৭১, ’৭২, ’৮১, ’৯১, ’৯৬, ২০০১ কিংবা ২০০৭ বলেন কোথায় সে অনুজ্জ্বল? সর্বশেষ ৫ জানুয়ারিতে কে কি করেছেন আমার দেখা আছে। একমাত্র ছাত্রলীগ নেত্রীর কথায় চোখ বন্ধ করে কাজ করে। বাঁচামরার কথা ভাবে না। তারা নেত্রী ছাড়া কাউকে মানে না। কারণ তারা ১/১১-তে দেখেছে। কত বড় বড় নেতারা লোভে-ভয়ে নেত্রীকে ছেড়েছেন। কিন্তু আমরা ছাত্রলীগ নেত্রীর পাশে ছিলাম।

 

ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা অনেক পুরনো। কারো মনমতো না হলে সে শি/দ (শিবির ছাত্রদল)। কারো কথা না শুনলে শি/দ। চেহারা তার মনমতো না হলে সে শি/দ। অমুকের সাথে চললে শি/দ। মোটকথা হলো- তার মনে হলে শি/দ।

 

 

কিছু নেতা শি/দ তাড়ানোর দায়িত্ব নিজ থেকে নিয়ে নিয়েছেন। মনে হয় সে মহাশক্তিমান। এমনভাবে বলেন নেত্রী যেন তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাকে সালাম দিলেই, তার কাছে গেলেই সে ছাত্রলীগ; বাকিরা শি/দ। কিন্তু তাদের পাশের কিছু লোক ছাড়া সব ছাত্রদল। কিভাবে আমদানি আমরা সব জানি।

 

যদি মন খারাপ হয় তবে তার সামনে ওই কয়টাকে গণধোলাই দেব। ছাত্রলীগ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ছাত্রলীগটা মনপ্রাণ দিয়ে করেছি। এর কোনো ক্ষতি হলে আবার মাঠে নামব। ছাত্রলীগ ছেড়েছি মানে সব জমা দিয়েছি এমন নয়।

 

নতুন সমালোচকদের কাছে প্রশ্ন-

১। সোহাগ-জাকির যখন হলের নেতা হয় তখন এসব সমালোচনাকারীরা কেন চুপ ছিলেন?

 

২। যখন কেন্দ্রীয় নেতা হয় তখন তারা কেন এদের বিষয়ে গোপন করেছেন?

 

৩। যখন এরা ছাত্রলীগের মিছিল করে তখন কেন তাদেরকে চিহ্নিত করেননি?

 

৪। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে কেন মাতামাতি?

 

যারা সোহাগ-জাকির নিয়ে বলবেন তারা উপরের চারটি প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তারপর বলবেন। মনগড়া বলবেন আর অন্যদের মতো আমরা মানব তা হবে না। উত্তর না দিয়ে যদি বলেন তবে আপনারা শি/দ অথবা আপনারা শি/দ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন। আর আপনাদের পেছনেই শি/দ এর বড় ইনভেস্টমেন্ট।

 

ছাত্রলীগ বড়দের সম্মান করে, এর অর্থ এই নয় তারা দুর্বল। একমাত্র ছাত্রলীগ এখনো অনেক কিছু মেনে চলে। আমরা অনেক সংগঠনের পার্টি অফিস গেছি। সেখানে গেলে মনে হয়- যে চেয়ারে আগে বসে সে বড় নেতা। কোনো সিনিয়র-জুনিয়র ভেদাভেদ নাই। যারা আমাদের পেছনে একটি পদবির জন্য ঘুরতেন আজ তারা অনেকের কাছে বিশাল বড় কিছু। এই প্রথা একদিন আপনাদের জন্য কাল হবে। কারণ, এদের যা শিক্ষা দেবেন পরে তা সময়মতো আপনার ওপর প্রয়োগ করবে।

 

সোহাগ-জাকির তোমাদের বলব, তোমাদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। আগামী নির্বাচন নিয়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছাত্রলীগ নিয়ে সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হবে। সারা দেশের শি/দ নানা কৌশলে আমাদের ছাত্রলীগে প্রবেশ করেছে। তারা সবসময় কৌশলে আমাদের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের তোমাদের কাছ থেকে দুরে রাখবে। এ বিষয়টি মাথায় নিলে সবকিছু দেখবে দলের জন্য সহায়ক হবে।

 

তোমাদের নেতা শেখ হাসিনা। এর বাইরে ছাত্রলীগ কাউকে নেতা মানবে না। আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন, তাদের পরামর্শ নেবে। কিন্তু তাদের পরামর্শ মানলে হিসাব করে মানতে হবে। শুধু এক নেতার কথা শুনতে হবে, তিনি হলেন জননেত্রী। এর বাইরে কাউকে হিসাব করলে সেটা ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে মানায় না। মহান আল্লাহ আর নেত্রীর ওপর আস্থা রেখে দলের জন্য কাজ কর। কাজ করলে নেত্রী কাউকে ঠকান না। তোমাদের সকল বিষয় নেত্রী জানেন।

 

সোহাগ-জাকির তোমাদের কোনো কাজ যেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের (সাবেক/বর্তমান) মনে কষ্ট না দেয়। মাঝখানে পাঁচ নেতা বহিষ্কার আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না। নিজেদের দুর্বলতা যেন প্রকাশ না পায়। এমন বিষয় যেন না আসে, যার কারণে পরীক্ষিতরা তোমাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে। আর মাঠের লোক সবসময় কাজ করে। তাদের দাবি বেশি নয়, তবে তা ন্যায়সঙ্গত। তাদের ঠকালে আল্লাহ তায়ালা বেজার হয়।

 

নতুন মহাশক্তিধরদের বলব, এমন কোনো ষড়যন্ত্র করবেন না/ এমন ফাঁদে পা দেবেন না যার জন্য আপনার/আমার মাসুল দিতে হয়। দলের ক্ষতি হয় এমন ভুল আমার দলের নেতাদের হাত দিয়ে যেন না হয়। আপনারা সজাগ থাকবেন আপনাকে যেন কোনো ভুল বোঝাতে না পারে। আপনার হাত দিয়ে যেন জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়িত না হয়। আপনার পাশের লোকটির বিষয় ভালোভাবে জানবেন।

 

আগামীর নেতৃত্ব তৈরির সংগঠন ছাত্রলীগ যেন কোনোভাবে তার আদর্শ না হারায়। কোনো ষড়যন্ত্র যেন তার গায়ে আঁচড় না কাটতে পারে এই প্রত্যাশা সকল পরীক্ষিত নেতাকর্মীর কাছে।

 

(বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরের কিছু নেতাকে নিয়ে, যা সত্য তা লিখছি। কারো পক্ষে বিপক্ষে গেলে সত্য সত্যই থাকে)

 

সরদার মামুন-অর-রশিদের ফেসবুক থেকে

 

বিবার্তা/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com