শিরোনাম
বাচ্চুসহ ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে নোটিশ
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৫৬
বাচ্চুসহ ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে নোটিশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীত দমন কমিশন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


২০১২-১৩ সালে আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ঘটে বেসিক ব্যাংকে। চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন ব্যাংকটির তখনকার পরিচালনা পর্ষদ কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমতো প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়ে দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে।


পদত্যাগের পর অন্তরালে চলে যান আলোচিত বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা আবদুল হাই বাচ্চু। সপরিবারে কখনো নিউইয়র্ক, কখনো লন্ডন, কখনো আবার রোমে অবস্থান করেন। দীর্ঘ সময় বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেসিক ব্যাংকের সাবেক এ চেয়ারম্যান এখন ঢাকাতেই থাকছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে কেউই নাম প্রকাশ করেনি।


২০১২-১৩ সালে আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ঘটে বেসিক ব্যাংকে। আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ১২০ জনের বিরুদ্ধে ৫৬টি মামলা দায়ের করে দুদক।


ব্যাংক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন নামি-বেনামি প্রতিষ্ঠানের মালিককে আসামি করা হলেও অনেকটা দায়মুক্তি পান সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ গোটা পরিচালনা পর্ষদ। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উচ্চ আদালত। সংসদে অর্থমন্ত্রীর অসহায়ত্ব প্রকাশ নিয়েও সমালোচনা হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় দুদকের ভূমিকাও। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। এমন অবস্থায় ঘটনার ৪ বছর পর সাবেক পরিচালনা পর্ষদকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিলো দুদক।


জানা গেছে, ২০০৯ সালের পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর ভুয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটির সাবেক পর্ষদ। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীন একের পর এক অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে আমানতকারীদের অর্থ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হয়।


কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৪ বছরের ব্যবধানে এ ব্যাংকটি থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা, শান্তিনগর ও গুলশান শাখায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশের আলোকে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়। এরপর ৪ জুলাই অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকেও অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।


এরপর ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা পাচারের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাময়িক বরখাস্তকৃত ডিএমডি এ মোনায়েম খান ও তার স্ত্রী শাহানা পারভীন এবং জিএম মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী ইসমতারার বিরুদ্ধে মামলা করে কমিশন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি ও সেকেন্ড হোমে অর্থ পাচারের অভিযোগে ডিএমডি এ মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়। ২০১০ সালে বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে কমিশন।


বিবার্তা/ইমদাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com