বাজারে বিভিন্ন প্রকারের গ্রীষ্মকালীন সবজির দেখা মিললেও বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো। বিক্রেতাদের দাবি যোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে কিছুটা। তবে শীঘ্রই দাম কমার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ও খোঁজ নিয়ে এ চিত্র উঠে এসেছে।

চলতি সপ্তাহে বাজারে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম বাড়তে দেখা গেছে। এ সপ্তাহে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮ থেকে ২২ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি সাইজভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সিম জাতভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২২ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ফালিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা, কচুরলতি জাতভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে দশ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া বাজারে লালশাক, কলমিশাক, পালংশাক, মুলাশাক, কুমড়াশাক ও লাউশাক পাওয়া যাচ্ছে। শাকের আঁটি সাইজভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে রসুনের দাম একই থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা হারে বেশি। এছাড়া ভারতীয় রসুন ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মানভেদে মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, আটাশ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পারি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, নাজির ৪৮ থেকে ৫৫, মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, হাস্কি ৪০ থেকে ৪২, আতপ চাল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ৮০থেকে ১০০ টাকা।

এ সপ্তাহে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অনান্য নিত্য পণ্য। দেশি মসুরের ডাল মানভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ২৮ থেকে ৩০ ও হাঁসের ডিম ৪২ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৬ থেকে ১০৬ টাকা। লুজ সয়াবিন ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১০২ থেকে ১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকায়। লুজ পামওয়েল ৭৩ থেকে ৭৫, পামওয়েল সুপার ৭৫ থেকে ৭৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল। রুই মাছ মাঝারি সাইজের কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি সাইজের কাতলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ফার্মের কৈ মাছ কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শিং ও পাবদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কোরাল সাইজভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কিছুটা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২ থেকে তিন টাকা কেজি প্রতি বেশি। এছাড়া লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

বিবার্তা/ওরিন/জিয়া